ক্রীড়া ডেস্ক: ভারতের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম দুইটিতে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ১২৭ রান ভারত অতিক্রম করেছে ৪৯ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখে। দ্বিতীয় ম্যাচে ২২১ রান করে বাংলাদেশকে হারিয়েছে ৮৬ রানের বিশাল ব্যবধানে। জয়ের ব্যবধানের পাশাপাশি বাউন্ডারি, বিশেষ করে ওভার বাউন্ডারি বা ছক্কা হাঁকানোতেও দুই দলের পার্থক্য বিশাল।
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ৪ ছক্কার বিপরীতে ভারত ছক্কা হাঁকিয়েছে ৭টি (পরে ব্যাটিং তার অন্যতম কারণ)। আর দ্বিতীয় ম্যাচে এই ব্যবধান অনেক বড়। ভারতের ১৫ ছক্কার বিপরীতে বাংলাদেশের ছক্কার সংখ্যা ওই ৪টি। বাউন্ডারি হাঁকানোয় এত পার্থক্যের পেছনে বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচ নিক পোথাস তুলে আনলেন ক্রিকেটারদের ওজন প্রসঙ্গ।
আগামীকাল রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলবে দুই দল। তার আগে আজ সংবাদ সম্মেলনে আসেন পোথাস। সেখানে দুই দলের ছক্কা মারার সামর্থ্যের কথা জানতে চাওয়া হয় বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচের কাছে।
উত্তরে পোথাস বলেন, ‘এটা অনেক কঠিন কথা। একজন যদি ৯৫-১০০ কেজি ওজনের হয় আর আরেকজন যদি হয় ৬৫ কেজি, তাহলে একজন তো বেশি দূরে বল পাঠাবেই। অবশ্যই এখানে টাইমিং আছে, টেকনিক আছে, সব আছে। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত কাজও করে যাচ্ছি।’
আইপিএলের প্রসঙ্গ টেনে পোথাস বলেন, আমরা যদি আইপিএলের দিকে তাকাই আইপিএল পৃথিবীর সেরা টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার জন্য আইপিএলই খেলোয়াড় তৈরি করে দেয়। তাই ভারতের কয়টি ছক্কা আমাদের কয়টি ছক্কা এমন তুলনা আলাদা। ব্যাপারটা অনেকটা এমন হয়ে গেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কটি ছক্কা মেরেছে আর আমরা কটি। তারা অনেক শক্তিশালী ক্রিকেটার। আমরা স্ট্রেংথ এবং কন্ডিশনিংয়ের দিকে উন্নতি করছি। কিন্তু জেনেটিকস নিয়ে তো আর লড়াই করা সম্ভব নয়।’
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ