কাপ্তাই প্রতিনিধি: ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে নারানগিরি ফার্ম খেয়া ঘাট এর সিঁড়ি ।
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার ২ নং রাইখালী ইউনিয়ন এর ২ নং ওয়ার্ডের পাহাড়ী রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিপরীতে কর্ণফুলী নদী দিয়ে এই ঘাটের সিঁড়ি ব্যবহার করে প্রতিদিন শত শত যাত্রী নৌকা পারাপার করেন।
বিশেষ করে রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, নারানগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছাড়াও নারানগিরি পাড়া, নারানগিরি ১ নং পাড়া, জগনাছড়ি পাড়া সহ আশেপাশের অনেক পাড়ার জনগণ এই খেয়া ঘাট ব্যবহার করে কাপ্তাই উপজেলা সদর, চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার, কেপিএম মিল এবং চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালে যাতায়াত করেন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল ১০ টায় এই খেয়া ঘাট সিঁড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সিঁড়ির অনেক স্থান ভেঙে গিয়েছে। নদী হতে উপরে উঠতে এত বেশী খাড়াঁ এবং পিচ্ছিল হয়েছে, যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটে নদীতে পড়ে যেতে পারে যে কেউ।
নারানগিরিমুখ এলাকার স্থানীয় মাঝি মো: জাহাঙ্গীর এর সাথে এসময় কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি বলেন , অনেক বছর ধরে জরাজীর্ণ ভাবে পড়ে আছে এই খেয়া ঘাটের সিঁড়িটি। অনেক জায়গায় ভাঙা, আবার অত্যন্ত খাঁড়া। বর্ষা মৌসুমে এই সিঁড়ি ব্যবহার করতে গিয়ে অনেকে আহত হয়েছেন। আর ভাটার সময় নদী হতে কয়েক ফুট উপরে এই সিঁড়ির দুরত্ব হয়ে যায়।
স্থানীয় নারানগিরিমুখ এলাকা অধিবাসী সাবেক উপজেলা বি.আর.ডি.বি চেয়ারম্যান রুবী চৌধুরী বলেন, এই খেয়া ঘাটের সিঁড়িটি বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়েছে। এটা সংস্কার বা পূর্ন নির্মাণ না করলে যেকোনো সময় এর অবস্থা আরোও ভয়াবহ হতে পারে।
৩২১নং রাইখালী মৌজার হেডম্যান উসুয়ে সুয়ে চৌধুরী (মিশুক) বলেন, এই খেয়া ঘাট এর সিড়িটি পুননির্মান হলে স্থানীয় জনগন এবং আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ উপকৃত হবে। সেটা যাতায়াতের ক্ষেত্রে হোক, লেখাপড়া ক্ষেত্রে হোক, চিকিৎসা ক্ষেত্রে হোক, ব্যবসায় কাচাঁমাল আনা নেওয়ার ক্ষেত্রে হোক আর অন্যান্য যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন এই সিড়ি ঘাট নতুন করে নির্মান করা হলে বর্তমানে জনগণের নদী পাড়াপাড়ের বা যাতায়াতের স্থায়ী যে সমস্যাগুলো হচ্ছে সেই সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে বলে আমি মনে করি।
যোগাযোগ করা হলে রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী জানান, এই খেয়া ঘাটের সিঁড়ি সম্পর্কে আমি অবহিত আছি। এই অর্থবছর না হলেও সেটা পরবর্তী অর্থ বছরে রাঙামাটি জেলা পরিষদ এর অর্থায়নে নির্মাণ করে দেওয়া হবে।