বোয়ালখালী প্রতিনিধি: বোয়ালখালী উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় চট্টগ্রাম ৮ আসনের সাংসদ নোমান আল মাহমুদ বলেছেন,বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ও থানা ক্যাম্পাসে আইন-শৃংখলা অবনতি হওয়ার তথ্য শুনে আমি বিষ্মিত, এ অবনতিতে থানার ওসি কখনো দায় এড়াতে পারেন না।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় বোয়ালখালী উপজেলা পরিষদ এর মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি উল্লেখিত কথা বলেন।
তিনি বলেন সভা শুরুর প্রাক্কাল থেকে শেষ পর্যন্ত এ কমিটির সদস্যদের মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন, কাজল দে, হামিদুল হক মান্নান, বোয়ালখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সাংবাদিক দেবাশীষ বড়ুয়া রাজুসহ অধিকাংশ সভ্য তাদের স্ব স্ব এলাকায় মদ,ইয়াবা, গাঁজা বিনিকিনি, গবাদপশু চুরির হিড়িক, অপরাধের নানান তথ্যসহ থানা আঙ্গিনায় অপরাধিদের আনাগোনা, থানার পুলিশ অফিসারদের স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে আতাত ও অবৈধ কার্যকলাপের কাহিনীর বক্তব্য গুলো শুনে আমি অবাক হয়ে পরলাম।
তিনি উল্লেখিত অপরাধের কথা শুনে নিজেই আশ্চর্যজনক হয়ে পড়ে আরো উল্লেখ করে বলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশকে এখন স্মাট বাংলাদেশ বানানোর সকল স্বপ্নকে ধ্যূলিস্মাৎ করার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী একটি চক্র অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে, এই অপতৎপরতা রোধে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার শেখ হাসিনার সরকারকে জয়ী করে সরকার গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষভাবে অতিথি ছিলেন – উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সেলিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা বেগম, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, আওয়ামীলীগের সি সহ সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আছহাব উদ্দিন,ইউপি চেয়ারম্যান এস এম জসিম, ইউপি চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) হোসনেয়ারা, প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ হাসান প্রমুখ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপস্থিত সভ্য বৃন্দদের মাঝে অনুষ্ঠিত এ আইন-শৃঙ্খলা সভায় প্রায় সব সভ্য পুরো উপজেলা ও পৌর এলাকায় মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগ-অভিযোগের ভরপুর ও সভার সর্বোচ্চ শৃংখলতার অভাবে বিষ্মিত হয়েছেন বলে জানান। শৃঙ্খলা বিহীন ও অভিযোগের রোষানল থেকে সভাকে শান্ত করতে সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুন বারংবার অনুরোধ জানিয়ে সভার শৃঙ্খল ও পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেন।