বেনজীরের গুলশানের সেই ৪ ফ্ল্যাট ক্রোক

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের পরিবারের মালিকানাধীন গুলশানের ১২৬ নম্বর সড়কের র‌্যাংকন আইকন টাওয়ারের চারটি ফ্ল্যাট ক্রোক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ সোমবার (৮ জুলাই) দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন এ তথ্য জানান। এর আগে এদিন দুদকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদের নেতৃত্বে একটি টিম ওই বাড়িটি পরিদর্শন করেন।

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন গণমাধ্যমকে জানান, বেনজীর আহমেদের গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাটের সমন্বয়ে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন কর্মকর্তাকে রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে দুদকের একজন পরিচালকসহ একটি টিম সোমবার বাড়িটির সবকিছুর ইনভেনটরির (তালিকা) পর ডুপ্লেক্সটি সিলগালা করে। পরে সেগুলো কমিশনে জমা দেবেন তারা। রোববার (৭ জুলাই) ক্রোক করা হয় বেনজীরের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের বাংলো বাড়ি।

এছাড়া জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বেনজীর, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা ও তিন মেয়ের নামে থাকা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট, বান্দরবান ও সেন্টমার্টিনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭০২ বিঘা জমি, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব ও ২৫টি কোম্পানির বিনিয়োগ ক্রোক ও জব্দ করে দুদক।

গত ৩০ জুন বেনজীরের স্ত্রী-কন্যাদের নামে থাকা গুলশানের ৪টি ফ্ল্যাটের তালা খুলতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের আবেদন করে দুদক।

গত ২ জুলাই বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মীর্জা, বড় কন্যা ফারহীন রিশতা বিনতে বেনজীর ও মেজো কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে থাকা স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেয় সংস্থাটি ।

বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে গত ১৮ এপ্রিল দুদক তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি টিম গঠন করে।

চাটগাঁ নিউজ/এসআইএস

Scroll to Top