সিপ্লাস ডেস্ক: তখন সকাল সোয়া ১০টা। লাইট–ক্যামেরা প্রস্তুত। শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুত পুরো টিম। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে শুটিং। এমন সময় চারপাশ থেকে ক্রমেই অন্ধকার ঘিরে ফেলে। এর মধ্যেই শুরু হতে থাকে ঝোড়ো বাতাস।
এমন আবহাওয়ায় বাধ্য হয়ে শুটিং বন্ধ, দুশ্চিন্তায় পরে যান পরিচালক এজাজ মুন্না। এমনিতে আজ তার কাজের চাপ বেশি। এর মধ্যে বৃষ্টি, শুটিং করতে পারবেন কি না, এই নিয়ে হতাশ ছিলেন।
পরিচালকের মন ভার দেখে পরিবেশ চাঙা করার দায়িত্ব নেন চঞ্চল চৌধুরী, শাহনাজ খুশিরা। বৃষ্টির আগেই নেচে–গেয়ে মাতালেন শুটিং ইউনিট। মন খারাপ করে বসে থাকা যেন অর্থহীন!
শুটিংবাড়ির বারান্দা থেকে চঞ্চল চলে গেলেন উঠানে। ধরলেন গান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। চঞ্চল বলেন, ‘আবহাওয়ার কারণে মনে হলো বসে না থেকে কাজের ফাঁকে একটা গান করা যায়। আমার পাশে ছিল পরিচালক। আজ কাজের চাপ নিয়ে পরিচালক কিছুটা হতাশায় ছিলেন। ঈদের কাজ, এই বৃষ্টির মধ্যে কী হয়। চাপ নিয়ে এভাবে বসে থাকার চেয়ে দারুণ আবহাওয়ায় গান গাওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না। তাই মজা করেই গানটি করলাম।’
তাঁরা গাইলেন গীতিকার হাশিম মাহমুদের গান। এই গায়কের ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি এর আগে তুমুল আলোচনা তৈরির করেছিল। এরপর তাঁর লেখা ‘দেখা না দিলে বন্ধু/ কথা কইও না’ গানটি গাইলেন চঞ্চল ও শাহনাজ খুশি। পরে বৃষ্টি চলে আসার কারণে গানটি আর শেষ করতে পারেননি।
শাহনাজ খুশি বলেন, ‘চঞ্চল তো প্রায়ই গান করে। তাদের গানে ভক্ত আমি। গানটি আমার ও চঞ্চলের অনেক প্রিয়। চঞ্চল যখন বলল গান করার কথা, তখন মনে হলো, এখন পরিবেশটাই গান করার। এর আগে আমি এই একই গান আমার জন্মদিনে চঞ্চলের সঙ্গে গেয়েছিলাম। সেই ভিডিও ফেসবুকে ছেড়েছিলাম। তখনো দারুণ সাড়া পরেছিল। এবারও ফেসবুক গানটি ছেড়েছি। শুনে সবাই খুব প্রশংসা করছেন।’
কয়দিন ধরে টানা গরম। এর মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও গরম ঠিকই ছিল পুবাইলের শুটিং বাড়িগুলোতে। এই গরমেও সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শুটিং করতে হয়েছে। তবে আজকে ছিল কাজের চাপ সবচেয়ে বেশি। শাহনাজ খুশি বলেন, ‘অনেক সকালেই আমরা শুটিংয়ে হাজির হয়েছিলাম। প্রথম দিকে পরিবেশ এমন ছিল যে আমাদের পরিচালকের আশঙ্কা ছিল, এই বৃষ্টি আর থামবে না। এই নিয়ে তার মাথায় হাত। পরে ৩৬ মিনিট টানা বৃষ্টি হয়ে এখন আবহাওয়া ভালো। আমরা লাইটের সমানে দাঁড়িয়ে আছি। এখনই শুটিং শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছি।