চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নতুনভাবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বিসিবি’র নতুন কাণ্ডারি কে হতে যাচ্ছেন তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। মাসরাফি নাকি সাকিব কে ধরছে বিসিবি’র হাল তা নিয়ে নেটিজেনদের মাঝে শুরু হয়েছে নতুন গুঞ্জন।
এতদিন বিসিবি সভাপতি, সংসদ সদস্য এবং বেক্সিমকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী এই তিনটি বড় দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন নাজমুল হাসান পাপন। মন্ত্রিসভার সদস্য হওয়ার পর থেকেই গুঞ্জন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে থাকছেন তো তিনি। যদিও একইসঙ্গে দুই দায়িত্বে থাকতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে কিশোরগঞ্জ-৬ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্যের ভাবনা কী, সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলেছেন পাপন নিজেই।
তবে পাপন ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিসিবি সভাপতি পদে থাকতে পারবেন। তাই পাপন মন্ত্রী হলেও আপাতত বিসিবির সভাপতির দায়িত্বও পালন করবেন। তবে এবারের মেয়াদের পর তিনি আর নির্বাচন করবেন না। এমনকি চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই বিসিবির দায়িত্ব ছাড়ার চেষ্টা করবেন জানিয়ে পাপন বলেন, প্রথম কথা হচ্ছে বিসিবির সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। আগেও আমাদের এখানে অনেক মন্ত্রী ছিলেন, যারা বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশেও আছে। কিন্তু সেটা ইস্যু না। আমার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল, এই মেয়াদেই দায়িত্ব ছাড়ার। যেটা শেষ হবে আগামী বছর। আমি চেষ্টা করব এ বছর শেষ করা যায় কিনা।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হোন পাপন। বোর্ড পরিচালকের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে সভাপতি আগে সরকার থেকে মনোনীত হতো। নাজমুল হাসান পাপন ২০১২ সালে প্রথমে সরকার কর্তৃক মনোনীত সভাপতি ছিলেন।
২০১৩ সাল থেকে বিসিবি সভাপতি পদটি নির্বাচনের মাধ্যমে বেছে নেয়া হয়। ২০১৩ ও ২০১৭ সালে দুই মেয়াদে নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন পাপন। চতুর্থ মেয়াদে ২০২১ থেকে বোর্ড সভাপতির পদে আছেন তিনি।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন