চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের এক মামলায় কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের সাবেক এক ইউপি সদস্যসহ তিন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩রা অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে চট্টগ্রাম ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরিফুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতান মোহাম্মদ অহিদ।
জেলহাজতে যাওয়া তিন আসামিরা হলেন- কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বাড়ির ইয়াসির আরাফাত (৩০), চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের খোয়াজনগর এলাকার মেম্বার বাড়ির সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ নুরুল আলম ও জুলধা ইউনিয়নের ডাঙারচর গ্রামের মোহাম্মদ ইসমাইল (৪৮)।
এ ফৌজদারি অভিযোগের অন্য অভিযুক্তরা হলেন- দিলুয়ারা বেগম (৪৭), কায়সার আহমদ (২৭), মো. রায়হান চৌধুরী ফাহিম (২৫), উর্মি (২৪), তুহিন (১৯)। এরা সকলে ইছানগর এলাকার হাজী বাড়ির বাসিন্দা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী উপজেলার জুলধা ডাঙারচর এলাকায় ৫ একরেরও অধিক একটি বিশাল জমি একাধিকবার ক্রয় বিক্রয়ের ঘটনা ঘটে। এসএ গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এসএ ট্যাংক টার্মিনাল লিমিটেড জমিটি ক্রয়ে দুই কোটি টাকা লেনদেন করেছেন বলে এজাহারে জানা যায়। এ ঘটনায় ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের অভিযোগে চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি অভিযোগে সিআর মামলা দায়ের করেন এসএ ট্যাংক টার্মিনাল লিমিটেডের কোম্পানি সেক্রেটারি ও প্রতিনিধি নুরুল আলম।
পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্টোকে। দীর্ঘদিন পর এ বছরের ২৫ জানুয়ারি পিবিআই পুলিশের ওসি কাজী এনায়েত কবীর আদালতে ১৫৬ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এ মামলায় জামিন নিতে এসে কারাগারে যান কর্ণফুলীর সাবেক এক ইউপি সদস্যসহ তিন আসামি।