বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ফুটবল জাদুকরের প্রথম জন্মদিন

সিপ্লাস ডেস্ক: জীবনের ৩৫টি বসন্ত পেরিয়ে আজ ২৪ জুন ছত্রিশে পা দিলেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টিনার ফুটবল জাদুকরের বাকি জন্মদিনগুলোর চেয়ে এবারেরটা একদমই আলাদা। বিশ্বকাপ জয়ের পর প্রথম জন্মদিন বলে কথা। ৩৬ বছরের খরা কাটিয়ে মেসির জাদুতে বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা।

 হাজারো অর্জনে ভরা মেসির কেবিনেটে এখন কাতার বিশ্বকাপের ট্রফিটাও আছে। তাই নিঃসন্দেহে নিজের ৩৬তম জন্মদিনটা সবচেয়ে বেশি আনন্দ নিয়েই পালন করবেন মেসি।
 

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে মেসির অর্জনের পাল্লা বেড়েই চলেছে। রেকর্ড সাতবার ব্যালন ডি’অর জিতেছেন।

ক্লাব ফুটবলে জিতেছেন একের পর এক শিরোপা। গত বছর মেসি যখন নিজের ৩৫তম জন্মদিন পালন করছিলেন, তখন তার ট্রফি কেবিনেটে জাতীয় দলের দুটি শিরোপা ছিল। ২৮ বছর পর ২০২১ কোপা আমেরিকা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। পরের বছরই জিতেছিল ফিনালিসসিমা শিরোপা।
কিন্তু আক্ষেপ ছিল একটা বিশ্বকাপ ট্রফির। মেসি বারবার বলেছেন, সাতটি ব্যালন ডি’অরের চেয়ে একটি বিশ্বকাপ তার কাছে বেশি দামি।
 

আসলে বিশ্বকাপ ট্রফিটাই হয়তো এত দিন মেসিকে মিস করছিল। তাই মরুদেশের বিশ্বকাপে ট্রফি উঠল মেসির হাতে। এর মাধ্যমেই পরিপূর্ণ হলো এক কিংবদন্তি ফুটবলারের ক্যারিয়ার।

অথচ সৌদি আরবের মতো দলের কাছে বিস্ময়কর হারে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হয়েছিল। মেসি বলেছিলেন, ‘মনে হচ্ছে যেন মারা গেছি।’ কিন্তু হাল ছাড়েননি তিনি। পুরো দলকে একজোট করে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কাতার বিশ্বকাপে প্রকৃত অর্থেই নেতা হয়ে উঠতে পেরেছিলেন মেসি। যেখানে তিনিই শেষ কথা। 

ক্যারিয়ারের সম্ভাব্য শেষ বিশ্বকাপ খেলতে নামা মেসিকে বিশ্বকাপ উপহার দিতে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছিল পুরো আর্জেন্টিনা দল। বিশ্বকাপের আগে মেসির সমালোচকরা বলতেন, ‘বন্যেরা বনে সুন্দর আর মেসি ক্লাব ফুটবলে।’ দেশের জার্সি গায়ে দিলেও যেন একটি খোলসের মধ্যে ঢুকে যান লিও। ট্রফি জেতানোর চাপ নিতে পারেন না। তাই বারবার কেঁদে বিদায় নিতে হয় তাকে। কাতার বিশ্বকাপে সেই ইতিহাস বদলে দিয়েছেন মেসি। তাই এবারের জন্মদিনটা তার জন্য, তার ভক্তদের জন্য খুবই স্পেশাল।

Scroll to Top