বিশ্ব অস্টিওপরেসিস দিবসে পার্কভিউ হাসপাতালের বৈজ্ঞানিক সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক : বয়স, জিনগত কারণ, মেনোপজ, অনিমিয়ত জীবন যাপনের কারণে অধিকাংশ মানুষ অস্টিওপরেসিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ওজন কমাতে কিশোর কিশোরীরা অস্বাস্থ্যকর ডায়েট করছে। এতে করে ওজন কমলেও ভেঙে যাচ্ছে শরীর। দুর্বল হচ্ছে হাড়। স্বাভাবিকভাবেই তারা আক্রান্ত হচ্ছে অস্টিওপরেসিস রোগে।

বিশ্ব অস্টিওপরেসিস দিবস ও এই সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে বৈজ্ঞানিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

সেমিনারে অর্থোপেডিক সার্জারী কনসালটেন্ট ডা. মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান পার্কভিউ হসপিটালের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও অর্থোপেডিক সার্জন ডা. এ টি এম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ও ডা. তানজিলা তাবিবের সঞ্চালনায় বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ প্যানেল মেম্বার হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. মুসলিনা আখতার, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী সার্জন ডা. তফিকুর নাহার মোনা, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (এন্ডোক্রাইনোলজি) ডা. মো. রফিক উদ্দিন, মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ফিজিক্যাল মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. মাহফুজুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক ও মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. মো. রেজাউল করিম এবং কনসালটেন্ট (রিউম্যাটোলজি) ডা. মো. নাজিবুর রহমান (খোকন)।

এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম এম আলম (সাদী), গাইনী ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রেশমা ফিরোজ, ডা. উর্মি আলম, ডা. নাজমিন সুলতানা, ডা. কোহিনুর আক্তার, বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. ইব্রাহিম খলিল উল্লাহ গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তফা নূর মহসিন রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ মু. জামাল উদ্দীন তানিন, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সগীর, মেডিকেল ডিরেক্টর (ল্যাব সার্ভিস) ডা. আহামদ রহিম, পার্কভিউ হসপিটালের বিভিন্ন বিভাগের মেডিকেল অফিসারগণ ও ম্যানেজার (মার্কেটিং অ্যান্ড ব্র্যান্ড) মো. জাহেদুল ইসলামসহ অন্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, দেশে পঞ্চাশোর্ধ্ব তিনজন নারীর মধ্যে একজন হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগে বা অস্টিওপোরোসিসে ভুগছেন। আর এ বয়সের পুরুষদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন ভুগছেন। অস্টিওপোরোসিস একটি নীরব রোগ হলেও এটি সময়মতো শনাক্ত এবং প্রতিরোধ করা সম্ভব। যদিও হরমোনের পরিবর্তনের কারণে সাধারণত পোস্টমেনোপজাল নারীরা এ সমস্যায় বেশি ভোগেন, তবে পুরুষদের মধ্যে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বেশি। কারণ বেশিরভাগ পুরুষই অস্টিওপরোসিস সম্পর্কে অবগত নন, ফলে এই রোগের দ্রুত চিকিৎসা না করায় পরবর্তী সময়ে গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতার সম্মুখীন হন।

সভাপতি ডা. এ টি এম রেজাউল করিম বলেন, অস্টিওপোরোসিসের সমস্যায় কমবেশি অনেকেই ভোগেন। মূলত হাড়ের খনিজ ঘনত্ব কমে যাওয়ার সমস্যাকে অস্টিওপোরোসিস বলা হয়। এক্ষেত্রে হাড়গুলো ভঙ্গুর হয়ে যায়। ফলে ফ্র্যাকচারের প্রবণতা বাড়ে। যদিও নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই এই রোগ দেখা দেয়।

চাটগা নিউজ/উজ্জ্বল/এসএ

Scroll to Top