আনোয়ারা প্রতিনিধি : সকাল থেকে কমিউনিটি সেন্টারে চলছিল প্রীতিভোজের আয়োজন। দূর-দুরান্ত থেকে দাওয়াত পেয়ে ছুঁটে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনরা। বর-কনের দুপক্ষের মধ্যে বইছে আনন্দঘন মুহূর্ত। বর-কনে পক্ষের ৮০০ মেহমানের মধ্যে প্রায় ২৫০ জন খেয়েছেন। মালা বদলের জন্য বর নিচ্ছিল প্রস্তুতি আর কনে সাজতে গেছে পার্লারে। এর মাঝে খবর এলো সাজতে গিয়ে পালিয়েছে কনে।
শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে আনোয়ারা উপজেলার কালাবিবি দীঘি এলাকার বঙ্গবন্ধু টানেল সড়কের পাশে একটি কমিউনিটি সেন্টারে এমনই ঘটনাটি ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে কনে পালানোর খবরে কালো মেঘের ছায়া নেমে আসে পুরো কমিউনিটি সেন্টারে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার একটি কমিউনিটি সেন্টারে বর-কনে একসাথে মেহেদী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে দুজনে আনন্দে মেহেদী রাত উপভোগ করেন৷ মধ্যরাতে টানেল রোড এলাকায় ফটোশুটও করেছিলেন তারা। এরপর বরের সাথে কনে পারকি সমুদ্র সৈকতেও গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। সেখানে বরের বন্ধুরাও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু পারকি সমুদ্র সৈকতে এমন কী ঘটেছে বিয়ের আসরে কনে না এসে পালিয়ে গেলেন- এই প্রশ্ন ঘোরপাক খাচ্ছে সবার মনে।
উভয়পক্ষের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৮ মাস আগে তাদের কাবিন সম্পন্ন হয়। উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও বারশত ইউনিয়নের বাসিন্দাদের মধ্যে বর-কনের বিয়ের আয়োজন চলছিলো। বিকেল ৫টার দিকে কমিউনিটি সেন্টারে বর ও কনে পক্ষের লোকজন বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করে দেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
কমিউনিটি সেন্টার কর্তৃপক্ষ জানান, সাজতে গিয়ে কনে পালানোর খবর শুনে কনের পিতা এবং মা স্ট্রোক হওয়ার খবর শুনেছি। কোনো পরিবারই এমন ঘটনা কখনও কাম্য করে না। সত্যিই দুঃখজনক ঘটনা এটি। আমাদের কমিউনিটি সেন্টারে এমন ঘটনা এই প্রথম।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ