সিপ্লাস ডেস্ক: বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে বিএনপির পতনযাত্রার শুরু বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের (ডিএসইসি) সদস্যদের সন্তানদের মেধাবৃত্তি ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি যখন আন্দোলনের তারিখ ঘোষণা করে, তখন মানুষ হাস্যরস করে। মানুষ হাস্যরস করে বলে, এটা এবারের ২৮ তারিখ নাকি আগামী বছরের ২৮ তারিখ, নাকি তার পরের বছরের ২৮ তারিখ। এবারের ২৮ তারিখে তারা বলবে, আগামী নির্বাচনের পর তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবে।”
তিনি আরো বলেন, “বিএনপি কিছুদিন আগে বলেছিল, অক্টোবর মাসে হচ্ছে ফাইনাল খেলা। আমরা আশা করেছিলাম, অক্টোবর মাসের শুরু থেকে তারা ফাইনাল খেলার দিন-তারিখ ঘোষণা করবে। তারপর বলল, পূজার পরে। এখন দেখলাম সেটি ২৮ অক্টোবর নিয়ে গেছে। খুব সহসা ২৮ অক্টোবর তারা নির্বাচনের পরে আন্দোলনের ঘোষণা দেবে। আগামী নির্বাচনের পরে বিএনপি আবার একটি আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা ২৮ তারিখ দেবে বলে মানুষ ধারণা করছে।”
ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিএনপির নিশ্চুপতা
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ফিলিস্তিনের হাসপাতালে চালানো হামলায় ৮০০ মানুষ ইতিমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে। শত শত শিশু মৃত্যুবরণ করেছে। তাদেরকে কবর দেওয়ার জন্য জায়গা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। সমস্ত পৃথিবী প্রতিবাদ করেছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সেই হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে। ফ্রান্স থেকে শুরু করে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এটার প্রতিবাদ জানিয়েছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী গতকাল প্রতিবাদ জানিয়েছেন, এর আগেও জানিয়েছেন। আমি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রথম থেকে এই হত্যাযজ্ঞ ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সমস্ত পৃথিবী এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। কিন্তু বিএনপি এটি কথা এই প্রসঙ্গে বলেনি। তারা শুধু বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য, তারেক জিয়ার শাস্তি নিয়ে ব্যস্ত। আজকে যে পুরো পৃথিবী এর বিরুদ্ধে কথা বলছে সেই বিষয় তাদের কানে পৌঁছয় না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক, আশ্চর্যজনক এবং প্রতিবাদ না জানিয়ে বিএনপি কার্যত এই বর্বরতার পক্ষ অবলম্বন করেছে। শিশু হত্যার পক্ষ অবলম্বন করেছে।”
রাজনীতিতে মেধাবীদের আসার আহ্বান
তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, “রাজনীতিতে মেধাবীরা আসছে না। রাজনীতি থেকে মেধাবীরা দূরে সরে যাচ্ছে। কিন্তু রাজনীতির মঞ্চ তো সে জন্য খালি থাকছে না। মেধাবীরা রাজনীতিতে না আসায়, মেধাহীনরা রাজনীতির মঞ্চ দখল করছে। মেধাহীনরা সংসদেও যাচ্ছে, দেশও পরিচালনা করছে। সে জন্য মেধাবীদের রাজনীতিতে আসা প্রয়োজন। মেধাবীরা যদি রাজনীতিতে না আসে, তাহলে মেধাহীনরা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়। যারা সুযোগসন্ধানী তারা রাজনীতিতে জায়গা করে নেয়।”
তিনি বলেন, “রাজনীতি যে একটা ব্রত, দেশসেবা, সমাজসেবা, দেশ পরিবর্তন, সমাজ পরিবর্তন, সমাজ উন্নয়ন, রাষ্ট্রের উন্নয়নের। রাজনীতি কোনো পেশা নয়, বরং একটি ব্রত। সেটি অনেক রাজনীতিবিদরা জানেন না বা মনে করে না। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।”