বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৫০, ১৪৪ ধারা জারি

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় একই স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্য ও পথচারীসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন।

এদিকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সমাবেশ ও আলোচনাস্থলসহ পুরো পৌর এলাকাকে এ নির্দেশনার আওতায় আনা হয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেল থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল রিফাত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানা গেছে, ২২ জানুয়ারি বিকেলে শ্যামনগর সদরের এম এম প্লাজার পাশে কৃষক দলের কার্যালয়ের সামনে উপজেলা ও পৌর বিএনপির আনন্দ মিছিলের সঙ্গে সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপির একাংশ। অন্যদিকে দলটির আরেক অংশ একই সময়ে ওই স্থানে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোনো পক্ষকেই কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া হয়নি। উভয়পক্ষ একই স্থানে ও একই সময়ে সম্মেলন কিংবা আলোচনা সভা আয়োজন করলে ওই স্থান ও আশপাশের সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তাই শ্যামনগর পৌরসভা এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. রনী খাতুন ১৪৪ ধারা জারি করেন।

এই কমিটি গঠনের পর থেকে শ্যামনগরে কমিটির পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি মিছিল সমাবেশ করে আসছে দলটির নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে উপজেলায় বিএনপির উভয়দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর মধ্যেই মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) উপজেলার পূর্ববর্তী ও নতুন ঘোষিত উভয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আব্দুল আলীম।

পরে বুধবার শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেয় উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক সোলাইমান কবিরের গ্রুপ। অন্যদিকে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণের ঘোষণা দেয় সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের গ্রুপ। এই কর্মসূচি ঘিরে পৌর এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

একপর্যায়ে বংশপুর এবং ঈশ্বরীপুর এলাকা থেকে সোলায়মান কবীর গ্রুপের নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে এলাকায় ফেরার পথে ইসমাইলপুর এলাকায় পৌঁছালে আশেক এলাহী মুন্নার বাড়ি থেকে ওই মিছিলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিরাপত্তায় থাকা আনসার সদস্য সাইফুল ইসলাম,পথচারীসহ উভয় গ্রুপের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। রাজনৈতিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শ্যামনগর পৌরসভা এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি  

Scroll to Top