মোহাম্মদ ইলিয়াছ, বান্দরবান : বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ডিপিইও) মো. আবদুল মান্নান ১৯ সেপ্টেম্বর বদলীর আদেশ পাওয়ার প্রায় এক মাস পরও রিলিজও নেননি। কিন্তু এর মধ্যে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বেশ কিছু শিক্ষককে বদলির অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, দেশের ৬১ জেলায় সরকারি বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ, বদলি ও বেতন ভাতাদি পরিশোধের একই নিয়ম থাকলেও তিন পার্বত্য জেলায় ভিন্নতা রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা ডিপার্টমেন্টসহ ২৮টি ডিপার্টমেন্টকে ন্যস্ত করা হয়েছে পার্বত্য জেলা পরিষদের কাছে। অর্থাৎ তিন পার্বত্য জেলা নিয়োগ, বদলি ও বেতন ভাতাদি পরিশোধে জেলা পরিষদের লিখিত আদেশ বা অনুমতি ছাড়া হয় না। কিন্তু বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নিজে বদলি হওয়ার পরও এভাবে শিক্ষকদের নিয়মবহির্ভূত বদলি করার বিষয়টা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
নিয়মবহির্ভূত বদলির শিকার শিক্ষকরা হলেন- আলীকদম উপজেলার চম্পট পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়াউল হক, একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিলক কান্তি চাকমা, জেসমিন আক্তার, জোহরা বেগম ও জাহানারা পারভীন লাকী। লামা উপজেলার লাইল্যারমার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাঈদা ইসলাম কলি।
বদলির আদেশপ্রাপ্ত শিক্ষকরা বলেন, আমাদেরকে কেন বদলি করা হয়েছে আমরা নিজেরাও জানিনা। এতো দিন চাকরি করছি কোনদিন উনুপস্থিতও ছিলাম না, বা কোন অনিয়মের সাথেও জড়িত ছিলাম না। মূলত নিয়ম বহির্ভূতভাবে বদলি করা হয়েছে আমাদেরকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আবদুল মান্নান বলেন, জেলা পরিষদের কার্যক্রম চালু না থাকায় মূলত সেভাবে বদলি করতে হয়েছে।
তবে কি কারণে বদলি করা হয়েছে জানতে চাইলে, তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেন নি। শুধু বলেছেন, আমি কোন অনিয়ম করিনি।
বান্দরবান জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, যেহেতু পরিষদ চলমান নেই, তাই আমরা কোনো বদলি আদেশও দিতে পারি না। এটা নিয়মবহির্ভূত।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ