সিপ্লাস ডেস্ক: বান্দরবানে ছয় দিন ধরে অবিরাম বর্ষণে পাহাড় ধসে মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আর আলীকদমে বন্যায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও পানিতে ভেসে নাইক্ষ্যংছড়িতে ম্রো সম্প্রদায়ের ১ জন ও টংকাবর্তীতে ১ জন নিখোঁজ রয়েছেন। পানিতে তলিয়ে যাওয়া ছাত্রাবাস থেকে ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিদ্যুতের সাবস্টেশনগুলো পানিতে ডুবে যাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে ৩ দিন জেলা।
মঙ্গলবারও অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে জেলার সাতটি উপজেলায়। বন্যার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
কালাঘাটা গুদারপাড় এলাকায় পাহাড় ধসে মা-মেয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- নূর নাহার (৪২) ও সাবুকননেছা (১৪)। অপরদিকে আলীকদমে বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও নাইক্ষ্যংছড়িতে পানিতে ভেসে ম্রো সম্প্রদায়ের একজন নিখোঁজ রয়েছেন। অপরদিকে সদরের বিক্রিছড়া এলাকায় পানিতে তলিয়ে যাওয়া ছাত্রাবাস থেকে ৩৪ জন শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মো. মহিউদ্দিন, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মাহমুদুল হাসানসহ প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেনাবাহিনীর ২টি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প ও ১টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, জেলায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লামা ও সদর উপজেলায়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পাহাড় ধসে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েকজন। ২৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মো. মহিউদ্দিন বলেন, সেনাবাহিনীর ২টি অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প কাজ করছে। একাধিক টিম দুর্গতদের সহযোগিতায় কাজ করছে।