সিপ্লাস ডেস্ক: ডিমের বাজারে নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে ভারত থেকে আরও ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই নিয়ে মোট ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলো।
দেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠান এক কোটি করে ডিম আমদানি করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মো. হায়দার আলী বলেন, নতুন করে আরও ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে (এক কোটি করে) ছয় কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ডিম আমদানির অনুমতি পাওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, চীজ গ্যালারি, পপুলার ট্রেড সাইনডিকেট, মেসার্স রিপা এন্টারপ্রাইজ, এস এম করপোরেশন, বিডিএস করপোরেশন ও মেসার্স জয়নুর ট্রেডার্স।
তিনি বলেন, আমদানি করা ডিম লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার এক সপ্তাহের মধ্যে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই এটি শুরু হবে। আমদানি করা ডিম খুচরা পর্যায়ে সরকার নির্ধারিত দামে প্রতি পিস ১২ টাকায় বিক্রি হবে।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের চার প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি করে মোট চার কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। এবার আরও ছয় কোটিসহ মোট ১০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগের চার প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, মেসার্স মীম এন্টারপ্রাইজ, প্রাইম এনার্জি ইম্পোর্টার্স এনবড সাপ্লাইয়ার্স, টাইগার ট্রেডিং ও অর্নব ট্রেডিং লিমিটেড।
এদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, গতমাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছেন। উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা। আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রির জন্য ১২ টাকা করে।
দেখা যাচ্ছে, খুচরা পর্যায়ে এ দামে বিক্রি হচ্ছে না বলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দেখতে পেয়েছে। সেজন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তে আমরা কিছু ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছি। চারটি কোম্পানিকে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কোম্পানি এক কোটি ডিম আমদানি করতে পারবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে প্রতিদিন চার কোটি ডিমের প্রয়োজন হয়। এজন্য দেশের বাজারে ডিমের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল আছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করবে এবং বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
এদিকে ১৪ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় আমিষের দাম বাড়ার মধ্যে খুচরা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।
ওইদিন বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা হওয়ায় আমরা এই দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। প্রতি পিস ডিম এখন থেকে ১২ টাকায় বিক্রি করা হবে। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে ওই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।