আমিরাত প্রতিনিধি: বাংলাদেশ দূতাবাস, আবুধাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। দূতাবাসের সকল কর্মকর্তার-কর্মচারীসহ বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে দিবসের অনুষ্ঠান মালার সূচনা করা হয়। এরপর দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ এবং এ দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আলবদর, আলশামস পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাযজ্ঞ চালায়। দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে দিনটি কালো অধ্যায় হিসেবে বক্তারা অবহিত করেন।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন্ এবং বলেন তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ দেশমাতৃকার স্বাধীনতার সংগ্রামে সফল হয়। তিনি জানান, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। বর্তমানে সরকার, বুদ্ধিজীবী হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় এনে একদিকে যেমন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন তেমনি এই রায় কার্যকরের মাধ্যমে তাঁদের বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ধ হয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানান মান্যবর রাষ্ট্রদূত।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করে এবং দেশের সার্বিক কল্যাণ ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।