বাঁশখালী প্রতিনিধি: প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুম শুরু হতে না হতেই চট্টগ্রাম বাঁশখালীতে শুরু হয় পাহাড় কেঁটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গৃহ নির্মাণ,পাহাড় কেঁটে মাঠি বিক্রি,পাহাড়ের সরকারি গর্জন সাবাড় সহ হরেক রকম নির্বিচার চলে পাহাড়ের সাথে। স্থানীয় বনবিভাগ বলছে আমরা একাধিক মামলা উচ্ছেদ করলে ও জামিনে এসে ফের বহাল তবিয়তে চলে এসব কাজ। পুরো বাঁশখালীতে সিন্ডিকেট করে এসব কাজ চলায়। এমন কি গোলাগুলি ও ঘটেছে বহুবার।
এমনই ঘটনা ঘটেচ্ছে প্রতিনিয়ত বাঁশখালী’র সরল ইউনিয়নের রফিক বাহিনী গং,বন বিভাগের তথ্য মতে তিনি ২০১০ সাল থেকে সক্রিয় ভাবে পাহাড় কেঁটে গৃহ নির্মাণ করে বিক্রি করে দিয়েছে শত শত। তার নামে প্রায় পাহাড় কাঁটা সহ একদিন মামলা ও রয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি বড় বড় উল্লেখ যোগ্য মামলা হল ২০১০ সালে P.O.R ১১/চেঁচুরিয়া,২০১১ সালে P.O.R ০৮/ চেঁচুরিয়া,
২০১৪ সালে P.O.R ০৩/ চেঁচুরিয়া, তবে সম্প্রীতি সময়ে আরে অনেক মামলা রয়েছে এগুলো কপি হাতে আসলে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। বিশেষ করে সমুদ্র উপকূল এলাকায় ও বাঁশখালী’র সাঙ্গু নদীর ভাঙ্গণের ফলে নিরুপাই হয়ে ঔ সব লোক গুলো প্রতি শতক পাহাড় ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভাবে বনবিভাগের পাহাড় চুক্তি করে গৃহ নির্মাণ করে।
অন্য দিকে বর্ষার ভরা মৌসুমে পাহাড় ধ্বসের মত একাধিক ঘটনা ও ঘটেছি উক্ত এলাকা গুলোতে। উপজেলা বন বিভাগ অভিযান আর উচ্ছেদ করতে করতে এক ধরনের অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছে বলে ও জানা যায়।
গতকাল সরেজমিনে বাঁশখালী’র পাইরাং এবং চেঁচুরিয়া পাহাড়ি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, টুং টাং শব্দে পাহাড় কেঁটে পাহাড় ধ্বসের ঝুঁকি নিয়ে গৃহ নির্মাণ করার দৃশ্য চোখে পড়ার মত। তবে রফিক নামে কেউ উপস্থিত ছিল না।
অন্য দিকে বিট কর্মকতা শফিকুল ইসলাম বলেন, বন বিভাগের পাহাড়ে কেঁটে ঘর নির্মাণের বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি সাথে সাথে আমার সঙ্গীয় একজন বন কর্মকতা সহ গিয়ে বাঁধা দিলে তারা আমার উপর তেড়ে এসে। উল্টো আমাদের ওখানে আর বিরক্ত কিংবা বাঁধা দিতে নিষেধ করেছে।
একই সাথে ওখানে দুইটা বাহিনী আছে একটা হল রফিক অন্য জন হল শহিদ। তবে রফিক বাহিনী বর্তামনে বেশ সক্রিয় আছে। শহিদ এলাকায় অবস্থান করছে না প্রায় ২ বছরের বেশী। তাদের মধ্যে একাধিক বার গোলাগুলির ঘটনা ও ঘটেছিল। আমি একজন বন কর্মকতা হিসাবে বন কর্মকতা হিসাবে পাহাড় সংরক্ষণ করা আমার দায়িত্ব। সরকার আমাকে অস্ত্র দিলে ও আমি উপরের অনুমতি ছাড়া শুট করতে পারি না। আর শুট করলে ও এখানে আমি আমার পরিবার নিয়ে অবস্থান করি। আমাকে নানা ভাবে তারা প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। তবে নতুন করে পাহাড় কেঁটে যে ঘর গুলো তৈরী করা হচ্ছে সে গুলোর বিষয়ে আমি আমার রেঞ্জ অফিসার কে জানিয়েছি ওনার সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করবো।
যদি পারি উচ্ছেদ করবো নাইলে আবার ও মামলা দিবো।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত শহিদ বলেন, আপনি একটু খবর নিয়ে দেখেন আমি রফিক বাহিনী অত্যাচরের স্বীকার। আজ প্রায় দুই বছর আমার ঘরে যাইতে পারছি না। আমি কি ভাবে ওখানে পাহাড় কেঁটে ঘর নির্মাণ করবো। রফিকের বিরুদ্ধে বনের মামলা সহ তিনি ডজন খানেক মামলার আসামি। আর আমি যে ঘর পাহাড় কেঁটে ঘর নির্মাণ করতেছি কেউ যদি বলে তাকে আমার কাছে সরাসরি এসে প্রমাণ করতে বলেন। আমি স্বেচ্ছায় কারা বরণ করবো।
এই বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রফিকের সাথে কথা বলার জন্য তার বাড়িতে গেলে সে বাড়িতে নাই বলে জানিয়ে দেয় একই সাথে তার বাড়ি লোকজন থেকে মোবাইল নাম্বার চাইলে তাদের কাছে নাই বলে এডিয়ে যায়।
অন্য দিকে এলাকার বিভিন্ন ভাবে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে কথা বলা যায়নি।
গৃহনির্মাণের মালিকের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা প্রথমে গণমাধ্যমকর্মী দেখে দৌড়ে চলে যায়। পরে কিছুক্ষণ অবস্থান করার পরে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গৃহের মালিকের স্ত্রী বলেন, আমি এখানে ১৪ শতক পাহাড় নিয়েছি ১০ জন লোক সাক্ষী রেখে ননজুডিশিয়াল স্টাম্প এবং চেক নিয়ে স্থানীয়
শফিক্কার ছেলে রফিক্কা থেকে। প্রতি গন্ডা ৬৫ হাজার করে নিয়েছে। আমি কেন? এখানে আশে পাশে সবাই একই ভাবে ওনার থেকে নিয়েছে।
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রেঞ্জার এমদাদুল হক বলেন, পাহাড় কেঁটে গৃহ নির্মাণের বিষয়টি আমি জেনেছি আমার বিট কর্মকতা শফিকুলের মাধ্যমে। তবে আমি একটু ছুটিতে যাচ্ছি ওখানে থেকে ফিরে অল্প দিনের মধ্যে এটার বিরুদ্ধে অভিযান আর মামলা দুইটাই করবো বলে জানান তিনি।
অন্য দিকে পরিবেশবিদ এবং সুশীল সমাজ বলছে, দেশে যে ভাবে পাহাড় আর সবুজ সমারোহ নষ্ট করা হচ্ছে প্রতি বছর তার প্রভাব কিন্তুু আমরা পাচ্ছি যেমন, গরমে দিনে অতিরিক্ত গরম,শীতের দিনে অতিরিক্ত শীত, অন্য দিকে বৃষ্টির দিনে অতিরিক্ত বৃষ্টি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত পাহাড় কাঁটার জন্য পরিবেশের ভারসাম্য আসলে সটিক থাকছে না।