বাঁশখালী প্রতিনিধি : নতুন জাতের বলসুন্দরী ও কাশ্মীরি আপেল বরই চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন বাঁশখালীর তহিদুল ইসলাম। তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের পূর্ব শীলকূপ ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
বাগান দেখতে গিয়ে কথা হয় তহিদুল ইসলামমের সঙ্গে। এসময় আলাপকালে তিনি চাটগাঁ নিউজকে বলেন, তিন বছর আগে পরীক্ষামূলক অল্প পরিসরে কাশ্মীরি আপেল বরই ও বলসুন্দরী দুই জাতের বরই চাষ করি। শুরুতে সফলতা পাওয়ায় উৎসাহ বাড়ে। এরপর থেকে আরও বড় পরিসরে বরই চাষ শুরু করি।
তিনি বলেন, এরমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ি হামুনসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাগান ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবুও নিরাশ না হয়ে ধৈর্য্য ধরে লেগে থেকেছি। ফলে সফলতার মুখ দেখেছি। এ বছর ৫ লাখ টাকার বরই বিক্রির আশা করছি। প্রতিদিন ব্যবসায়ীরা পাইকারি ধরে বাগান থেকে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা করে বরই নিয়ে যাচ্ছে বলে জানান তহিদুল।
এই সফলতা শুধু একজন তহিদুলের নয়, বাঁশখালীর অনেক যুবক ও বিভিন্ন বয়সের কৃষক বরই চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। ঘুচেছে বেকারত্ব। বদলেছে ভাগ্য।
বরই পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও জনপ্রিয় ফল হিসেবে পরিচিত। চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বরইয়ের আবাদ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে বরই চাষ করে চাষিরা ভাগ্য বদলের খেলায় হেরে গেলেও, আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে বাণিজ্যিকভাবে হাইব্রিড জাতের বরইয়ের আবাদ হচ্ছে। মচমচে, রসালো, টক মিষ্টি ও সুস্বাদু ফল হিসেবে আপেল বরই ও বলসুন্দরী বরইয়ের তুলনা নেই। আর বরই চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন করছে বেকার যুব সমাজ। তবে ব্যাপক পরিসরে চাষাবাদের জন্য সরকারি সহায়তা বা সহজশর্তের ঋণ পাওয়ার দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা কৃষি কর্মকতা আবু সালেক বলেন, বরই চাষ করে যে স্বাবলম্বী হওয়া যায় এটা বিশ্বাসযোগ্য। বরই চাষ করে শত শত কৃষক লাভ হয়েছে। বর্তমানে বাঁশখালীতে বরই চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। এখন বরই চাষে অনেকে এগিয়ে আসছে। তবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে চাষিরা কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারপরও যতটুকু জেনেছি, ফলন ভাল হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ