সিপ্লাস ডেস্ক: পাকিস্তানের দেওয়া ২৮৭ রানের জবাবে নেদারল্যান্ডস ২০৫ রানেই গুটিয়ে গেছে। ফলে বিশ্বকাপ মিশনে প্রথম ম্যাচে বড় জয় দিয়েই শুরু হয়েছে পাকিস্তানের যাত্রা। ডাচদের বিপক্ষে বাবর আজমরা জয় পেয়েছে ৮১ রানের।
২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনেই খেলতে থাকে ডাচরা। ম্যাক ও’ডাউড ৫ রান করে ফিরে গেলেও বিক্রমজিৎ সিং ছুটতে থাকে অর্ধশতকের পথে। কলিন অ্যাকারম্যান বিদায় নেন দলীয় ৫০ রানে, ১৭ রান করে। অর্ধশতক তুলে নেন বিক্রমজিৎ। ৬৭ বলে ৫২ রান করে শাদাব খানের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। এরপর দুর্দান্ত বল করা বাস ডি লিড ব্যাট হাতে দায়িত্ব নেন ডাচদের। একপ্রান্ত উইকেট আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন।
বিক্রমজিৎ সিংয়ের পথ অনুসরন করে তেজা নিদামানুরু ও স্কট এডুয়ার্ডসও ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। দলীয় ১৩৩ রানে দুইজনই ফিরে যান। তেজা নিদামানুরু ৯ বলে ৫ ও স্কট এডুয়ার্ডস ২ বলে শূন্য রানে ফিরে যান। দলের এমন বিপর্যয়ে অর্ধশতক তুলে নেন ডি লিড। ৪ বাউন্ডারির সঙ্গে এক ছক্কায় ৫০ বলে ৫০ করেন তিনি। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই।
শেষ পর্যন্ত এই ডাচ ব্যাটার ফেরেন ৬৮ বলে ৬৭ রান করে। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ২টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার। শেষের দিকে আর কোনো ব্যাটারই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ফলে ডাচরা আউট হয়ে যায় ২০৫ রানে। এতে ৮১ রানের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ আসর শুরু করল পাকিস্তান। বাবর আজমের দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন হারিস রউফ। দুটি উইকেট পান হাসান আলী। একটি করে উইকেট পান শাহীন আফ্রিদি, ইফতিখার আহমেদ, মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাদাব খান।
এদিন হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৮ রানের মাথায় তিন উইকেট হারায় বাবর আজমের দল। ওপেনার ফখর শুরুতে ১২ রান করে আউট হন। এরপর তিনে নামা অধিনায়ক বাবর ফিরে যান ৫ রান করে। পরেই ওপেনার ইমাম উল ১৫ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান।
এরপর চতুর্থ উইকেটে সৌদ-রিজওয়ান মিলে দলের হাল ধরেন। দুজনই করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। তবে ইনিংস বেশি বড় করতে পারেননি কেউই। দুইজনই ব্যক্তিগত ৬৮ রান করে ফিরেছেন। তাদের জুটি হয়েছে ১২০ রানের।
এরপর রিজওয়ান নিজেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৬৮ রানে বাস ডি লিডে বোল্ড হন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক এই ব্যাটার। স্কোরকার্ডে ৬ রান যোগ হতেই সাজঘরের পথ ধরে ইফতেখারও। শেষদিকে মোহাম্মদ নওয়াজ ও শাদাব খানের ৭০ বলে ৬৪ রানের জুটিতে বাবররা পায় লড়াই করার মত পুঁজি। ১৬ রানে হারিস রউফ ও ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন শাহিন শাহ আফ্রিদি।
নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৯ ওভার বল করে ৬২ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন বাস ডি লিড। জোড়া উইকেট পান অ্যাকরম্যান।