ইব্রাহিম মোস্তফা, উখিয়া প্রতিনিধি: সদ্য বিদায়ী কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোঃ ইসমাঈল বলেছেন, কুতুপালং এর বখতিয়ার মেম্বারকে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরেরদিন পাওয়া যায় বখতিয়ার মেম্বারের লাশ। তার বাড়িতে থাকা সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায় দুই থানার দুই ওসি লুঙ্গি পড়া অবস্থায় তাকে অন্যায়ভাবে টেনে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো মাদকের মামলা নেই। রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক ব্যবসা ছিলো তার।
শনিবার এক সংবর্ধনা সভায় এসব হত্যাকান্ডের বিচার করতে গিয়ে জেলা জজ ইসমাঈল তাঁর অভিজ্ঞতার কথা বলেন । শনিবার দুপুরে, কক্সবাজার নাগরিক ফোরামের আয়োজনে জেলা জজ মোঃ ইসমাঈল এর বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
তিনি আরও বলেন, মেজর অবসরপ্রাপ্ত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার পেছনে বড় কারণ ছিল ইয়াবা।
টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ইয়াবা বানিজ্য জেনে যাওয়ায় সিনহাকে হত্যা করা হয়। সিনহা টেকনাফে ডকুমেন্টারির কাজ করতে গিয়ে প্রদীপের অপরাধের বেশ কিছ তথ্য সংগ্রহ করেন।
কক্সবাজার থেকে ইয়াবা পাচার বন্ধ হলে ১০ হাজার মানুষ বেকার হয়ে যাবে মন্তব্য করে জেলা জজ ইসমাঈল বলেন, ইয়াবা মামলা জামিন করানোর নামে লাখ লাখ টাকা মিয়ে বসে থাকেন দালালরা, এরমধ্যে একশ্রেণীয় অসাধু আইনজীবীও রয়েছে মন্তব্য তাঁর।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার তাদের লোকদের জামিনে ছাড়িয়ে নিতে মোটা অংকের ফান্ড তৈরি করেন বলেও জানান জেলা জজ।