চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ফ্রিল্যান্সারকে আটকের পর মামলা ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখানো এবং তার মোবাইল ফোন থেকে কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ডিবির ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার স্পিনা রানী প্রামাণিক নিশ্চিত করেন, গত (১২ মার্চের) সিএমপি কমিশনার (অ্যাডিশনাল আইজিপি) কৃঞ্চ পদ রায়ের স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
‘প্রতিবেদন পর্যালোচনান্তে ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রুহুল আমিনকে ব্যাখ্যা তলব করা হোক এবং এসআই (নিরস্ত্র) মো. আলমগীর হোসেন, এএসআই (নিরস্ত্র) মো. বাবুল মিয়া, এএসআই (নিরস্ত্র) মো. শাহ পরাণ জান্নাত, এএসআই (নিরস্ত্র) মইনুল হোসেন, কনস্টেবল মো. জাহিদুর রহমান, কনস্টেবল আব্দুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করতঃ বিভাগীয় মামলা রুজু করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলো’।
মামলার সূত্র থেকে জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বায়েজিদের গুলবাগ আবাসিক এলাকার একটি কুলিং কর্ণারে ভিকটিম ফ্রিল্যান্সার আবু বক্কর চা খাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাকে ও ফয়জুল আমিন নামের অপর একজনকে গাড়িতে তুলে নেন আসামিরা এবং মোবাইল ফোন ও টাকাপয়সা নিয়ে নেন। সেই সাথে তাদের দুজনের আঙ্গুলের ছাপ ও পাসওয়ার্ডও নেওয়া হয়। মামলার আরজিতে আরও বলা হয়, আবু বক্করসহ দুজনকে গাড়ি করে নগরীর মনসুরাবাদ ডিবি অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। ডিবি পুলিশের হেফাজতেই তারা ছিলেন। একপর্যায়ে আবু বক্করের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লাখ করে ১০ লাখ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে স্থানান্তর করেন আসামিরা। এ ছাড়া তার বাইন্যান্স অ্যাকাউন্ট (ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিময়) থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ডলার অর্থাৎ প্রায় তিন কোটি ৩৮ লাখ টাকা স্থানাস্তর করা হয়।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর