চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি থাকা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে খাবার ও পানি সংকট দেখা দিয়েছে। জাহাজে মজুত থাকা পানি কমে যাওয়ায় কয়েকদিন ধরে সপ্তাহে দুইদিন গোসল করছেন নাবিকরা। পুটল্যান্ড পুলিশের বাধার কারণে জলদস্যুদের পক্ষ থেকেও খাবার সরবরাহ করা যাচ্ছে না জাহাজে। বর্তমানে রেশনিং করে খাবার ও পানি পান করতে হচ্ছে নাবিকদের।
এসব তথ্য জানান এমভি আবদুল্লাহর মালিক চট্টগ্রামের কবির গ্রুপ।
গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা জিম্মি থাকা জাহাজে খাবার ও পানি পাঠানোর সুযোগ খুঁজছি। নাবিকরা এখন জিম্মি অবস্থায় রয়েছে। এখনতো আগের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন না। নাবিকদের থাকা খাওয়া ও গোসলের কষ্ট হচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি এখন সপ্তাহে দুইদিন পানি দেওয়া হচ্ছে। খাবার ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে দ্রুত নাবিকদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে গত ২০ মার্চ থেকে জলদস্যুরা এমবি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। মালিকপক্ষ থেকে রমজানের ঈদের আগেই জাহাজ ও নাবিকদেরকে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা। চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে আছে।
এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য প্রায় ২৫ দিনের হিমায়িত খাবার ও ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি
মজুদ ছিল।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর নৌবাহিনী ও ভারতীয় নৌবাহিনীর অভিযানের খবরে, জলদস্যুরা জাহাজের ব্রীজের উপর নিয়ে আসে নাবিকদেরকে। বাইরের যেকোন আক্রমণ ঠেকানোর জন্য নাবিকদের সামনে রেখে এ কৌশল নিয়েছিল জলদস্যুরা। তবে গত বুধবার থেকে পুনরায় কেবিনে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছেন নাবিকরা।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ