ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : ফটিকছড়িতে আ’লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দীন মুহুরীকে প্রধান আসামি করে ৮৩ জনের নামে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী দেখা হয়।
ফটিকছড়ি পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো: হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ০৩ তারিখ (০৪-১০-২০২৪) ইং।
এ মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান হোসাইন মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, ফটিকছড়ি পৌরসভার সাবেক মেয়র মোঃ ইসমাইল হোসেন, নাজিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র এ.কে জাহেদ চৌধুরী, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম, জিকু চৌধুরী, লেলাং এর আইয়ুব মেম্বার, মোঃ ওমর ফারুক চৌধুরী, মো রুবেল, সাজ্জাদ উল আলমসহ আরো অনেকেই।
মামলার বিবরণ জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট সকাল ১১ থেকে বিকাল ৩ টার দিকে নাজিরহাট ঝংকার মোড় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কের ওপর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মিছিল শুরু হওয়ার প্রাক্কালে এজাহারনামীয় ১-১০ নং আসামীর উপস্থিত নির্দেশে, প্রত্যক্ষ প্ররোচনা, ইন্ধন ও সহায়তায় ১১-৮৩ নং আসামীগণ অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো রামদা, কিরিচ হাতে নিয়ে তাহাদের নেতৃত্বে এজাহারনামীয় আসামীগণসহ অজ্ঞাতনাম ২০০-২৫০ জন আসামীরা দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি, হকিস্টিক ও অস্ত্র-সন্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রকাশ্যে নিরীহ ছাত্র জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে উপর্যুপুরি গুলি চালিয়ে আশ-পাশ জনমনে আতংক সৃষ্টি করে ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে।
পরে এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ২০০-২৫০ জন আসামীরা উপরোক্ত ঘটনাস্থলের আশ-পাশে থাকা সাধারণ ছাত্রদেরকে আক্রমন করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মনিরুজ্জামান বলেন, গত ৪ আগস্ট নাজিরহাট ঝংকার মোড়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে ছাত্রদের মারধর করে তাদের আহত করে। এ ঘটনায় ৮৩ জন এজাহারনামীয়, ২০০-২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। আসামীদে বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ নুর আহমেদ বলেন, এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/আনোয়ার/জেএইচ