চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: তাহলে কী সিলেট স্ট্রাইকার্সের বড় সমস্যার নাম ছিলো মাশরাফি? সমালোচকরা এখন বেশ বড় মুখ করেই বলতে পারবে, মাশরাফি নেই তো, জয়ের রাস্তাও খুঁজে পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।
বাস্তবতা কিন্তু সেটাই। জাতীয় সংসদের দায়িত্ব পালন করার লক্ষ্যে মাশরাফি বিপিএল ছেড়েছেন। এরপরই প্রথম জয়ের দেখা পেলো সিলেট স্ট্রাইকার্স। এর আগে মাশরাফির নেতৃত্বে ৫ ম্যাচ খেলে একটিতেও জয় পায়নি যে দলটি, সেটিই আজ দুর্দান্ত ঢাকাকে হারিয়ে দিয়েছে ১৫ রানে।
‘এই অবস্থায় মাশরাফির বিপিএল খেলা উচিত নয়’- এমন মন্তব্য করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তার বক্তব্য ছিল, মাশরাফি না খেলে তরুণ কাউকে সুযোগ দিতে পারতো। রেজাউর রহমান রাজার মত পেসারকে সাইডলাইনে বসে থাকতে হয়।
এই মন্তব্যে আশরাফুল তুমুল সমালোচনার শিকার হন। অথচ, সেই রেজাউর রহমান রাজাই আজ মাঠে নেমে ২ উইকেট নিলেন। দলকে জেতাতে ভূমিকা রাখলেন।
টস জিতে সিলেটকেই প্রথমে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে সিলেট।
ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটই জ্বলে উঠেছিলো এদিন। ৪৬ বলে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৩২ বলে ৩২ রান করে ইংলিশ অলরাউন্ডার সামিত প্যাটেল। ৯ বলে ২১ রান করেন আরিফুল হক। ১৩ বলে ১১ রান করেন বেনি হাওয়েল। অথচ দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত (৩) এবং শামসুর রহমান শুভ (০) পুরোপুরি ব্যর্থ হলেন।
ঢাকার হয়ে ৪ উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। আরাফাত সানি নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ এবং উসমান কাদির।
জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানে থেমে যায় দুর্দান্ত ঢাকা। কোনো ব্যাটারই ঠিকভাবে দাঁড়াতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স বোলারদের সামনে। বিশেষ করে জিম্বাবুইয়ান পেসার রিচার্ড এনগারাভার সামনে। ৩০ রান দিয়ে ৪ উইকেট দখল করেন তিনি। দুটি নেন রেজাউর রহমান রাজা এবং ১টি করে নেন নাঈম হাসান ও বেনি হাওয়েল।
দুর্দান্ত ঢাকা টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়ে বিপিএল শুরু করেছিলো। কিন্তু এরপর টানা চার ম্যাচ হারলো তারা। পয়েন্ট টেবিলে ঢাকা চলে গেছে একেবারে তলানীতে। সিলেট এবং ঢাকার পয়েন্ট সমান ২টি করে হলেও রান রেটে পিছিয়ে পড়েছে ঢাকা।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর