পেকুয়া প্রতিনিধি : কক্সবাজারের চকরিয়ায় ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত আসহাবুল করিম জিহাদের স্মরণে শোক সভা, দোয়া মাহফিল ও শোক র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ হল রুমে মাওলানা জহিরুল ইসলাম কাসেমীর পবিত্র কোরআন তেলোয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আবুল কাশেম।
এতে সাংস্কৃতিককর্মী এফ এম সুমন ও শহিদুল ইসলাম আজিজের সঞ্চালনায় শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদ।
শোক সভায় নিহত জিহাদের পিতা মকসুদুল করিম বাচ্চু, চাচা লায়ন জিয়াউল করিম, উপজেলা বিএনপি প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মুজিবুল হক চৌধুরী, সদর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাত হোছাইন, উপজেলা প্রেস ক্লাব পেকুয়ার সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফারুক, পেকুয়া সরকারি মডেল জিএমসি ইনস্টিটিউশনের সহকারী শিক্ষক মাওলানা রুহুল কাদের, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক এম. কপিল উদ্দিন বাহাদুর, পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পরিষদের আহবায়ক সোহেল আজিম, সংবাদকর্মী বেলাল উদ্দিন বিল্লাল, ছাত্র নেতা সওকত হোসেন বিজয়, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ আবু হানিফ, ছাত্র নেতা আরফাতুল মোস্তফা কমল, নিহতের সহপাঠী নোমান, রায়সুল আছাদ, সোহেল রানা, আহসান হাবিব, মো: আবুল কাশেম, জাহেদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল নোমান, নিহতের ভাই সালমান সাকিসহ তার সহপাঠীরা বক্তব্য রাখেন।
ওই সময় বক্তারা বলেন, জিহাদকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে চকরিয়ার কোনাখালী এলাকার কতিপয় মোবাইল চোর সিন্ডিকেট। হত্যার এক সপ্তাহ পেরুলেও এখানো অধরা হত্যার মুল ঘাতকসহ তার সহযোগীরা। শোক সভায় বক্তরা দ্রুত জিহাদ হত্যার বিচার দাবি করেন এবং শোক সভা শেষে একটি শোক র্যালী বের হয়, র্যালীটি পেকুয়া কলেজ চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে চৌমুহনী চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।