ক্রীড়া ডেস্ক: ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে ক্রিকেটারদের আচরণবিধি সংযত রাখতে নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে অভিভাবক সংস্থা আইসিসির। যা লঙ্ঘনের দায়ে ভিন্ন তিনটি দেশের তিন ক্রিকেটারকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শাস্তিপ্রাপ্ত একজন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার জেরাল্ড কোয়েটজে। ভারতের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে তিনি আম্পায়ারের উদ্দেশ্যে ‘অযথার্থ’ মন্তব্য করেছেন বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এ ছাড়া নেদারল্যান্ডসের অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস এবং ওমানের সুফিয়ান মেহমুদও ভিন্ন ঘটনায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি পেয়েছেন। স্কটল্যান্ড-ওমান ম্যাচে আম্পায়ারের দিকে আউট হয়ে ফেরার পথে ব্যাট দেখানো ও ব্যাট-গ্লাভস ছুড়ে ফেলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এডওয়ার্ডসের বিরুদ্ধে। সুফিয়ান শাস্তি পেয়েছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে আউট করে বুনো উদযাপনের কারণে।
ঘরের মাঠে ভারতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জোহানেসবার্গে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে একটি বল ওয়াইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে আম্পায়ারের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে দেখা যায় প্রোটিয়া পেসার কোয়েটজেকে। যা আচরণবিধি অনুসারে লেভেল-১ অপরাধ বলে উল্লেখ করেছে আইসিসি। পরে যদিও নিজের দোষ স্বীকার করেছেন কোয়েটজে। সে কারণে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট কেবল তার সেই ম্যাচের ৫০ শতাংশ ফি জরিমানা ও তিরস্কার দিয়েছেন।
অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডস ও ওমান নিজেদের তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়েছিল গত সপ্তাহে। ম্যাচে আম্পায়ারের উদ্দেশ্যে এডওয়ার্ডসের ব্যাট দেখানো এবং ক্রিকেট সরঞ্জামের ‘অপব্যবহার’ করে ২.৮ এবং ২.২ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের দায়ে শাস্তি পেয়েছেন। তাই এই ডাচ অধিনায়কের নামের পাশে দুটি ডিমেরিট পয়েন্ট এবং ১০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা করেছে আইসিসি।
একই ম্যাচে ডাচ ব্যাটার তেজা নিদামানুরুর আউটের পর ওমানের সুফিয়ান মেহমুদের করা উদযাপন কোড অব কন্ডাক্টের ২.৫ অনুচ্ছেদ ভঙ্গ করেছে। যে ধারায় ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে কোনো ব্যাটার আউটের পর তাকে রাগিয়ে তোলার জন্য ভাষা কিংবা ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ’কে শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলা হয়। সে কারণে সুফিয়ানের ম্যাচ ফি–ও ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি।
এডওয়ার্ডস ও সুফিয়ান ম্যাচ রেফারি নিয়ামুল রশিদ রাহুলের কাছে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় আর আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হয়নি। এর আগে ওমানের মাটিতে টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছে সফরকারী নেদারল্যান্ডস।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ