পুলিশ হেফাজতে দুদক কর্মকর্তার মৃত্যু: আরেক আসামি গ্রেফতার

চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ চট্টগ্রামে পুলিশ হেফাজতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় অন্যতম আসামি এসএম আসাদুজ্জামানকে (৫২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন মোজাফফর নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই মেট্রো ইউনিট।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্টো ইউনিটের পরিদর্শক মো. ইলিয়াস খান চাটগাঁ নিউজকে বলেন, অবসরপ্রাপ্ত দুদক কর্মকর্তা ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যুর ঘটনায় নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে করা মামলার আসামি এসএম আসাদুজ্জামানকে বায়েজিদ বোস্তামী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুননেছার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহর স্ত্রী ফৌজিয়া আনোয়ার। মামলাটি আমলে নিয়ে চান্দগাঁও থানায় রেকর্ড করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে বাকলিয়া থানার রাহাত্তারপুল এলাকা থেকে ঐ মামলার আসামি জসীম উদ্দীন ও গত ১২ ফেব্রুয়ারি নগরের চকবাজার এলাকা থেকে আসামি মো. লিটনকে গ্রেফতার করে পিবিআই।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দুদকের সাবেক উপ-পরিচালক (ডিডি) ছিলেন। ২০১৮ সালে অবসর নেন তিনি। তিনি নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় বসবাস করতেন। সেখানে জমি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ ছিল তার। এর জের ধরে গত ২৯ আগস্ট রনি আক্তার তানিয়া নামে এক নারীকে ঐ দুদক কর্মকর্তার কাজের মেয়ে সাজিয়ে দুদকের সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও তার শ্যালক মোহাম্মদ কায়সার আনোয়ারকে আসামী করে মামলা করান অভিযুক্তরা।

ঐ মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। কিন্তু তাদেরকে ফাঁসানোর জন্য আদালতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দিয়ে আদালতে ইস্যুকৃত সমন গায়েব করে দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করে অভিযুক্তরা। এরপর গত ৩ অক্টোবর রাতে শহীদুল্লাহকে বাসা থেকে আদালতের ওয়ারেন্ট দেখিয়ে গ্রেপ্তার করে নগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশ। এসময় থানায় নেওয়ার পর ভুক্তভোগী শহীদুল্লাহকে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছৈয়দ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর মৃত্যু ঘটে।

ওই মামলায় অন্য আসামীরা হলেন, চান্দগাঁও থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ইউসুফ, এএসআই সোহেল রানা, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মবিনুল হক, মো. জসীম উদ্দীম (৩৭), মো. লিটন (৪৮), রনি আক্তার তানিয়া (২৬) ও কলি আক্তার।

চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন

Scroll to Top