নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পটিয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরী সমর্থকেরা নৌকার দুই নির্বাচনী অফিসে আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রাতে উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে ভান্ডারগাঁও ও ছনহরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আলমদারপাড়ার দুই নির্বাচনী অফিসে এ আগুন দেওয়া হয়। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নৌকাও আগুনে পুড়ে যায়।
কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম জানান, তিনি রাতে চট্টগ্রাম শহরের বাসায় ফিরে যাওয়ার পর জানতে পারেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন রাতে নৌকা প্রার্থীর অফিসে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুড়ে দেওয়া অফিসটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হওয়ার কারণে বর্তমানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। রাতে জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হলে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক নুরুল হুদার নেতৃত্বে অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী সমন্বয়কারী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ দাশ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী তাদের পরাজয়ের বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত হয়ে সংখ্যালঘু এলাকায় ঢুকে বিভিন্ন ধরনের আতংক ছড়াচ্ছে। কাশিয়াইশ, ছনহরা, গৈড়লা, হাবিলাসদ্বীপ ও কেলিশহর ইউনিয়নে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছে। তার সমর্থকদের নৌকা প্রতীক, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি পুড়ানো জঘন্যতম একটি ঘটনা ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সবুজ ও ছনহরা ইউনিয়নের ওসমান আলমদারের নেতৃত্বে গৈড়লার টেকে যে হামলা হয়েছে তার জন্য মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর দুটি অফিসে আগুন ও প্রার্থীর সমর্থকের গাড়িতে আগুন দিয়ে হামলার ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সত্যতা পেলে অবশ্যই মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।
তথ্যসূত্রে আরো জানা যায়, এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরকান সড়কের পটিয়া উপজেলার গৈড়লার টেক এলাকায় নৌকার প্রচারণা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে নৌকার সমর্থক এসএম ফখরুল আলম সজীব (৪০) নামে একজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। সে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে সে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। জানা গেছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা আশংকাজনক।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন