চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়া মাদ্রাসায় বিবদমান দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছাত্ররা হাতে লাঠি, লোহার রড, গুলতি ও গাছের বাটাম নিয়ে প্রতিপক্ষকে তাড়া করতে দেখা যায়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন মাদ্রাসার ছাত্র হতাহত হয়েছে।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) শুরা গঠনের খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
রাস্তায় অবস্থান করে পটিয়ার পরিচালক ওবাইদুল্লাহ্ হামজার বিরুদ্ধাচারনকারী বিদ্রোহী ছাত্ররা। পরে তারা ডাক বাংলোতে অবস্থান করে। দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান করার কথাও জানায় তারা।
এসময় তারা চারটি দাবি উত্থাপন করে।
১। পটিয়া মাদ্রাসায় আক্রমনকারী সন্ত্রাসীদের ফাঁসী চাই।
২। ২৪ ঘণ্টার ভেতর উবাইদুল্লাহ হামজার গ্রেফতার।
৩। মাদ্রাসার সংবিধান অনুযায়ী বৈধ শূরার মাধ্যমে পরিচালক নির্ধারন করতে হবে।
৪। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মাদ্রাসার সব ব্যাংক একাউন্ট খুলে দিতে হবে।
তারা জানান, হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে গতকাল শনিবার হেফাজতে ইসলামের দু’জন মেহমান আসলে মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগকারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক ওবায়দুল্লাহ হামজার কিছু অনুসারী বার বার মাদ্রাসায় হামলা ও শিক্ষার্থীদের মারধর করছে।
হামলার অভিযোগে প্রতিপক্ষ মাদ্রাসা ছাত্ররা ওবায়দুল্লাহ হামজার কয়েকজন অনুসারীকে ধরে মাদ্রাসায় আটকে রাখতে দেখা যায়।
ছাত্ররা হাতে লাঠিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে মহাসড়কের ডাকবাংলো ও মাদ্রাসার আশপাশসহ মাদ্রাসায় অবস্থান নিয়েছে।
আন্দলোনকারীরা বলেন, মুহতামিম হবে কার জন্য? ছাত্রদের জন্য, উস্তাদদের জন্য, কিন্তু ছাত্ররাও ওবাইদুল্লাহ হামজাকে চায় না শিক্ষকরাও চায় না।
ঘটনাস্থলে পটিয়া থানার ওসি মোঃ জসিম উদ্দীনের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত পুলিশ সদস্য অবস্থান নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আনা হচ্ছে বলে জানা যায়।
চাটগাঁ নিউজ/এমএসআই