সিপ্লাস ডেস্ক: কালুরঘাট সেতু বন্ধের পর থেকে কর্ণফুলী নদী পারাপারে মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। সময় মতো ফেরি না চলার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার করেন যাত্রীরা। দুইটি ফেরি চালু থাকার কথা থাকলেও দিনের বেশির ভাগ সময় ফেরি চালু থাকে একটি, অপরটি থাকে বন্ধ। এতে দুই পাড়ে দীর্ঘ লাইন পড়ে গাড়ির। এসময় ফেরির অপেক্ষা না করে মানুষ নদী পার হন নৌকা যোগে। তবে অভিযোগ রয়েছে একটি সিন্ডিকেট মাঝিদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে ফেরি চলাচলে ইচ্ছাকৃত বাধা সৃষ্টি করাচ্ছেন। যাতে নৌকায় পারাপার হতে মানুষ বাধ্য হন।
জানা গেছে, যাত্রীবাহী নৌকার প্রতি ট্রিপে মাঝিদের কাছ থেকে ৩০ টাকা করে নেয় সিন্ডিকেটের লোকজন। দৈনিক একটি নৌকা অন্তত ২০ বার যাত্রী নিয়ে পারাপার করে। সেই হিসেবে একটি নৌকার মাঝি দেন ৬০০ টাকা। কালুরঘাটে যাত্রী পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে প্রায় ৩৫টি নৌকা। এতে দৈনিক ২১ হাজার টাকা পান সিন্ডিকেটের লোকজন। এই টাকা থেকে নদীর দুইপাড়ের থানা ও ফাঁড়ির পুলিশ এবং ফেরির দায়িত্বশীল লোকজনকে ম্যানেজ করেন। অবশিষ্ট টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় এক পৌর কাউন্সিলরের লোকজন এ চাঁদাবাজিতে জড়িত।