সিপ্লাস ডেস্ক: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নেতাদের চলে যাওয়া ঠেকানোর জন্য বিএনপি এখন রোডমার্চ দিচ্ছে, হয়তো ক’দিন পর আরও অন্য কর্মসূচি দেবে। এগুলো করেও বিএনপি থেকে নেতাদের সরে যাওয়া এবং অন্য দলে যোগ দেওয়া কিংবা নতুন প্লাটফর্ম করা তারা ঠেকাতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সদ্যপ্রয়াত চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি কিছুদিন পরপর নানা ধরনের কর্মসূচি দেয়। কর্মসূচির মধ্যে কোনো নতুনত্ব নেই। ক’দিন হাঁটা কর্মসূচি, ক’দিন বসা কর্মসূচি, ক’দিন গণমিছিল কর্মসূচি এগুলো গতানুগতিক। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো তাদের দল থেকে যে নেতারা চলে যাচ্ছে সেটি নিয়ে কিছু বলার জন্য।
চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র শিল্প যখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তখন সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকীর চলে যাওয়াটা চলচ্চিত্র অঙ্গণের জন্য, সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। কারণ তার মতো এ রকম গুণী নির্মাতা একদিনে তৈরি হয়নি।
তিনি বলেন, সালাহউদ্দীন জাকী একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, তিনি একজন সজ্জন ভদ্র মানুষ ছিলেন। তার চলনে-বলনে কোনো বাহুল্য ছিল না, নিজেকে জাহির করার কোনো প্রবণতা তার মধ্যে কখনও দেখিনি।
উল্লেখ্য, ১৮ সেপ্টেম্বর ৭৭ বছর বয়সে মারা যান চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী।
শুদ্ধাচার পুরস্কার: এ দিন বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন সংস্থাগুলোর মধ্যে মনোনীত কর্মচারীদের হাতে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা ২০২১ অনুযায়ী দপ্তর প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ, ২য় থেকে ৯ম গ্রেডের অফিসারদের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (প্রশাসন-৪) রাশিদুল করিম, ১০ম থেকে ১৬তম গ্রেডের মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কোহিনূর আক্তার প্রীতি, ১৭তম থেকে ২০তম গ্রেডের মধ্যে অফিস সহায়ক শেখ মো. সাইফুল্লাহ এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।