আনোয়ারা প্রতিনিধি : সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সাগরে মাছ শিকার ও পরিবহণের দায়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ। একইসঙ্গে বিভিন্ন প্রজাতির ৭ হাজার ১১০ কেজি মাছ জব্দ আনোয়ারার বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
রবিবার (৭ জুলাই) উপজেলার তৈলারদ্বীপ ব্রিজ এলাকা থেকে এসব মাছ জব্দ করেন গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশ।
আটক ৮ জন হলেন- কায়সার মিয়া (৫৫), রেজাউল (২৯), রেজাউল করিম(৪২), আব্দুল করিম (৩৪), জাবের হোসেন (৩৯), বেলাল হোসেন (২৫), মো. আজিম (২৮) ও আবদুল শুক্কুর (২৮)।
নৌপুলিশ সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগর থেকে বাঁশখালী ও পেকুয়া উপজেলার জেলেরা মাছ শিকার করে বিক্রি করার জন্য চট্টগ্রাম নগরীর উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন তথ্য পেয়ে তৈলারদ্বীপ সেতুর উত্তরে চেকপোস্ট বসিয়ে অভিযান চালায় নৌ পুলিশ। এ সময় দুইটি ট্রাক ও একটি পিকআপ গাড়ি আটক করা হয়। গাড়িগুলোতে তল্লাশি চালিয়ে ৮২টি প্লাস্টিকের ড্রামভর্তি লইট্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৭ হাজার সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়। এ সময় গাড়ির চালকসহ মাছ চালানে জড়িত আটজনকে আটক করা হয়েছে। মাছগুলোর আনুমানিক মূল্য ১৪ লাখ টাকা।
বার আউলিয়া ঘাট নৌপুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তিনটি ট্রাকভর্তি ৭ টন সামুদ্রিক মাছ জব্দ করা হয়েছে। ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সামুদ্রিক মাছ শিকার ও পরিবহনের দায়ে ৮ মাছ বিক্রেতাকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আনোয়ারা থামায় নিয়মিত মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা রাশিদুল হক চাটগাঁ নিউজকে বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ উপধারা (২) মোতাবেক সামুদ্রিক মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও টেকসই আহরণ নিশ্চিত করতে গত ২০ মে থেকে আগামী ২৩ জুলাই মোট ৬৫ দিন সামুদ্রিক মাছ ও ক্রাশটাসিয়ান্স আহরণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তাই নৌপুলিশ রাতে টহল টিম বসিয়ে এসব মাছ জব্দ করেন। পরে মাছ গুলো আনোয়ারার ১০০ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/সাজ্জাদ/এসএ