সিপ্লাস ডেস্ক: ২০১৯ সালে স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএলএন) প্রধান নওয়াজ শরীফ। আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে চার বছর পর আবার দেশে ফিরলেন। সৌদি আরব থেকে দুবাই হয়ে শনিবার স্থানীয় সময় বিকেলে তিনি দেশে ফেরেন। তাকে স্বাগত জানাতে ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে যান পিএমএল-এন শীর্ষ নেতারা। খবর-ডন।
সাবেক আইনমন্ত্রী সিনেটর আজম তারার বলেন, নওয়াজ শরীফ দেশে পৌঁছার পরই রাজনৈতিক এবং আইনি বিষয়ে পরামর্শ করা হবে।
দলের নেতা ইসহাক দার বলেছেন, সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার জন্য নওয়াজ শরীফ বিকেল ৫টায় মিনার-ই-পাকিস্তানে যাবেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত তার দল মুসলিম লীগ। সমাবেশে ব্যাপক লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। এই সমাবেশ থেকেই আগামী নির্বাচনে দলের এজেন্ডা তুলে ধরবেন নওয়াজ।
পাকিস্তানের শক্তিশালী সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিরোধ ছিল নওয়াজ শরীফের। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ক্ষমতাচ্যুতও হয়েছিলেন। পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট ২০১৭ সালে নওয়াজকে সরকারি পদে অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন তিনি।
নওয়াজ শরিফ দেশে ফিরলেই গ্রেপ্তার হতে পারেন– এমন উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। তবে বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত সব বাধা দূর করা হয়েছে। দুর্নীতির দুটি মামলায় নওয়াজকে আগাম জামিন দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনি মসৃণভাবে দেশে ফেরেন।
তার এভাবে দেশে ফেরাটা অনেকটা নাটকীয় বলা যায়। শেষবার তিনি যখন পাকিস্তানে ছিলেন তখন দুর্নীতির অভিযোগে জেলে ছিলেন। তবে স্বাস্থ্যগত বিবেচনায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিনি জেল থেকে ছাড়া পান।
পাকিস্তানের জটিল রাজনৈতিক সমীকরণ এবং দেশটির রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর প্রভাব বিবেচনায় আগামী নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রীও হয়ে যেতে পারেন এমন আলোচনাও চলছে। অন্যদিকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় ক্ষমতায় আসা ইমরান খান এখন সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে জেলে রয়েছেন।