পেকুয়া প্রতিনিধি : কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত চট্টগ্রাম কলেজের শিক্ষার্থী ওয়াসিম আকরামের (২২) দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
তাঁকে বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টায় পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাঁগগুজারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে শ্রেণি পেশার মানুষের ঢল নামে। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, দেশের মানুষের ন্যায্য দাবি আদায় করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে আকরাম নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন। আকরামের দাবি ছিল- এদেশের আপামর ছাত্র সমাজের দাবি। আমরা তার আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যেতে দিবনা। এসময় তারা আকরামের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে বুধবার ভোর দিবাগত রাত ৪টার দিকে ওয়াসিম আকরাম মরদেহ তার নিজ গ্রামে এসে পৌঁছায়। লাশ বাড়িতে আসার পর স্বজনদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠে আশেপাশের পরিবেশ। বাড়িতে তার সহপাঠি ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা ছুটে আসেন। এলাকার শত শত মানুষ ওয়াসিম আকরামের লাশ একনজর দেখার জন্য বাড়িতে অপেক্ষায় ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রবাসী পিতার ৫ সন্তানের মধ্যে ওয়াসিম ছিলেন দ্বিতীয়। তাঁকে ঘিরে অনেক স্বপ্ন ছিল দরিদ্র মা-বাবার। তাকে হারিয়ে মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে পরিবারটির।
নিহত ওয়াসিম আকরাম গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম শহরের মুরাদপুর এলাকায় কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলায় নিহত হন বলে দাবি পরিবারের।
এদিকে নিহত ওয়াসিম আকরামের হত্যার বিচারের দাবিতে জিয়া কলেজের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী। এসময় তারা হত্যাকারীদের খুঁজে তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান।
জানাজায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা জেড এম মুসলেম উদ্দিন, বেলাল হায়দার, সাবেক উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান নুরজামান মন্জু, বিএনপি নেতা ইউসুফ রুবেল, যুবদলের আহবায়ক কামরান জাদিদ মুকুট, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক এম ফরহাদ হোছাইনসহ নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
চাটগাঁ নিউজ/সুমন/এসএ