চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে একাধিক গ্রামে দফায় দফায় সশস্ত্র হামলায় অন্তত ১৬০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, রোববার রাতে নিহতের সংখ্যা মাত্র ১৬ জন বলে জানিয়েছিল দেশটির সেনাবাহিনী।
প্ল্যাটো রাজ্যের বোকোস অঞ্চলের সরকারপ্রধান কাসাহ সোমবার জানিয়েছেন, শনিবার সকাল পর্যন্ত হামলায় ১১৩ জন নিহত হওয়ার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তিনি জানান, স্থানীয়ভাবে ডাকাত নামে পরিচিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো অন্তত ২০টি এলাকায় সমন্বিতভাবে হামলা চালায়। আমরা তিন শতাধিক আহত মানুষকে পেয়েছি, যাদের বোকোস, জোস ও বারকিনের হাসপাতালগুলোতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে স্থানীয় রেড ক্রস জানিয়েছিল, বোকোস অঞ্চলের ১৮টি গ্রামে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। এতে ১০৪ জন নিহত হয়েছেন।
রাজ্য পার্লামেন্টের সদস্য ডিকসন চোলোম বলেছেন, বারকিন লাদি এলাকার কয়েকটি গ্রামেও অন্তত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
বর্বরোচিত হামলা
স্থানীয় চেয়ারম্যান দানজুমা দাকিল জানান, হামলাটি শুরু হয়েছিল বোকোস অঞ্চলে। এরপর তা প্রতিবেশী বারকিন লাদিতেও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে অন্তত ৩০ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
প্ল্যাটো রাজ্যের গভর্নর কালেব মুতফওয়াং এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং এটিকে ‘বর্বর, নৃশংস ও অন্যায়’ বলে উল্লেখ করেছেন। গভর্নরের মুখপাত্র গিয়াং বেরে বলেছেন, নিরীহ বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতা রোধে সক্রিয় পদক্ষেপ নেবে সরকার।
তবে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, প্ল্যাটো রাজ্যের গ্রামীণ সম্প্রদায়ের ওপর ঘন ঘন প্রাণঘাতী হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে নাইজেরীয় কর্তৃপক্ষ।
আফ্রিকার বৃহত্তম অর্থনীতি এবং সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়া। এর উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সশস্ত্র ডাকাতদের উৎপাত চলছে। ডাকাতরা অহরহ গ্রামগুলোতে হামলা চালিয়ে লুটপাট এবং মুক্তিপণের জন্য বাসিন্দাদের অপহরণ করে থাকে।
দেশজুড়ে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ টিনুবু।