চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: নষ্ট ইনসুলিন ও টিটেনাস ভ্যাক্সিন রাখার অভিযোগে তিনটি ওষুধের দোকানকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় প্রায় ৯ লাখ টাকার ওষুধও জব্দ করা হয়।
শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুুরে বৃহত্তম পাইকারি ওষুধের মার্কেট হাজারি গলিতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সঙ্গে ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী কমিশনার সুলতানুল আরেফীন।
অভিযানে হাজারী গলির ছবিলা কমপ্লেক্সে অবস্থিত প্যাসিফিক ট্রেডার্স নামের একটি দোকান থেকে ৩ লাখ টাকার নষ্ট ইনসুলিন জব্দ করা হয়। প্রতিটি ইনসুলিনের গায়ে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করার নির্দেশনা থাকলেও তা কম তাপমাত্রায় ফেলে রাখা হয়েছিল, ফলে এগুলোর কার্যকারিতা অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। মূলত বেশি লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা সঠিক তাপমাত্রায় ইনসুলিনগুলো সংরক্ষণ না করে পাইকারি দরে বিক্রি করেন। এসময় দোকান মালিক অভিযুক্ত পল্লব বিশ্বাসকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর একই অভিযোগে নিরুপমা ড্রাগ হাউজ এবং রাজীব ড্রাগ হাউজ থেকে আনুমানিক আরও ৬ লাখ টাকার নষ্ট ইনসুলিন জব্দ করা হয়। পাশাপাশি রাজীব ড্রাগ হাউজে প্রচুর পরিমাণ টিটিনাসের টিকা পাওয়া যায়, যেগুলোও ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা উচিত। কিন্তু ফেলে রাখা হয়েছে সাধারণ তাপমাত্রায়। এসকল অভিযোগে দুই দোকান মালিকের প্রত্যেককে ৩০ হাজার করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করায় ৩ দোকান প্রায় ৯ লাখ টাকার ইনসুলিন জব্দ করা হয়েছে, ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ ছিল যে, নির্দিষ্ট কয়েকটি ফার্মেসীর ইনসুলিন কাজ করে না। প্রকৃতপক্ষে এর ভিতর অধিকাংশ ইনসুলিন লাগেজে করে বিদেশ থেকে আসা, এগুলো অননুমোদিত। বাইরে থেকে আনার সময় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না, ফলে সেগুলোর কার্যকারিতা তখনই শেষ হয়ে গেছে।
অভিযানে কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক মো. মেহেদী হাছানসহ একটি টিম সার্বিক সহযোগিতা করেন।
চাটগাঁ নিউজ/এমআর