নিজস্ব প্রতিবেদক: পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নগরীর পশুর হাটগুলো জমে উঠেছে।এবার স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে নগরীর ৭টি পশুর হাট বসেছে।ঈদের এখনও বেশ কিছুদিন বাকী থাকায় বাজারে গরু বেশী থাকলেও ক্রেতার ক্রয় না করে দেখে চলে যাচ্ছেন।বেপারীরা বলছেন ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে গরুর বাজার জমে উঠবে।
সরেজমিনে আজ নূর নগর হাউজিং গরুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গরুভর্তি ট্রাক আসতে শুরু করেছে। আধাঘন্টায় ৮ টি গরুভর্তি ট্রাক আসতে দেখা যায়। তবে এখনো নূর নগর হাউজিং মাঠের অর্ধেকাংশ মাঠ খালি।বেচা বিক্রি এখনো শুরু হয় নি।
কুষ্টিয়া থেকে গরু নিয়ে এসেছেন মালেক ব্যাপারি।তিনি জানান, আজ সকালে তিনভাই মিলে ১৭টি গরু নিয়ে এসেছে।তার কাছে ১লক্ষ ২০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের গরু রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবার চট্টগ্রামে কোরবানি পশুর সম্ভাব্য চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭১৩টি। এর বিপরীতে স্থানীয় খামারে উৎপাদন হয়েছে ৮ লাখ ৪২ হাজার ১৬৫টি। এবার স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত করা পশুর মধ্যে গরু আছে ৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৩২৫টি। এছাড়া ৭১ হাজার ৩৩৩টি মহিষ, ১ লক্ষ ৮৫ হাজার ৭৪৩টি ছাগল এবং ৫৮ হাজার ৬৬২টি ভেড়া রয়েছে।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, এবার সাতটি অস্থায়ী পশুর হাটে ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়। বাজারগুলো হচ্ছে নূর নগর হাউজিং পশুর বাজার , ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের বাটারফ্লাই পার্কের দক্ষিণে টি কে গ্রুপের খালি মাঠ, ৪০নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডের পূর্ব হোসেন আহম্মদ পাড়া সাইলো রোডের পাশে টিএসপি মাঠ, একই ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ রোডের সিআইপি জসিমের খালি মাঠ, ২৬নং ওয়ার্ডের বড়পোল সংলগ্ন গোডাউনের পরিত্যক্ত মাঠ, ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের ওয়াজেদিয়া মোড়, দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের আউটার রিং রোডস্থ সিডিএ বালুর মাঠে হাট ।
এবার নগরীর দুটি স্থায়ী হাট সাগরিকা ও নূর নগর হাউজিং পশুর বাজারে ‘ক্যাশলেস’ লেনদেন করতে পারবেন ক্রেতা–বিক্রেতারা।ক্যাশ বা নগদ লেনদেনের পরিবর্তে ব্যাংকের কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে এ লেনদেন করা যাবে।
এ নিয়ে গতকাল(২০ জুন) দুপুরে নগরীর কাজির দেউড়ির সেনাকল্যাণ সংস্থা কনভেনশন হলে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট হাট’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ’ উদ্যোগের আওতাধীন এই কার্যক্রমটিতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১০টি গরুর বাজারে ‘ক্যাশলেস’ লেনদেন হবে।
দেশের মোট ১০টি ব্যাংক যথাক্রমে এবি ব্যাংক লিমিটেড, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড, ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড, আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, পূবালী ব্যাংক লিমিটেড, দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি ও তিনটি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট স্কিম যথা- এমেক্স, মাস্টারকার্ড ও ভিসা এবং ৪টি এমএফএস প্রোভাইডার বিকাশ, নগদ, উপায় ও এমক্যাশ সচেতনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।