নগরীতে ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং

সিপ্লাস ডেস্ক: বৃষ্টি কমতে না কমতেই ফের ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হয়েছে নগরীতে। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বিদ্যুতের আসা-যাওয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তারা।

তবে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন- চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল না পাওয়ায় অধিকাংশ তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র দিনের বেলায় বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। বিপরীতে গরম বাড়ায় এসির ব্যবহার ফের বেড়েছে। একদিকে উৎপাদন কমে যাওয়া, অন্যদিকে চাহিদা বাড়ায় ফোর্স লোডশেডিং দিতে হচ্ছে নগরীতে।

বিদ্যুৎ বিভাগের দেওয়া তথ্যানুযায়ী- গতকাল (সোমবার) দিনে পিডিবি দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ছিলো প্রায় ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ১০০-১৫০ মেগাওয়াট বেশি। চাহিদার বিপরীতে জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে সর্বোচ্চ ৯৮৫ মেগাওয়াট। এই হিসাবে সোমবার (গতকাল) দিনে চট্টগ্রামে লোডশেডিং ছিলো ২০০ মেগাওয়াটের বেশি। ২০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং থাকায় নগরীর আকবর শাহ, পাহাড়তলী, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, খুলশী, আগ্রাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ পাননি গ্রাহকরা। একেকবার দীর্ঘ সময় পর বিদ্যুৎ এলেও তা ৩০-৪০ মিনিটের চেয়ে বেশি স্থায়ী ছিলো না বলে এসব এলাকার গ্রাহকরা জানিয়েছেন।

আকবর শাহ এলাকার বাসিন্দা আকমল হোসেন জানান, প্রতিদিন রেকর্ড বিদ্যুৎ উৎপাদনের গল্প শুনি। এতো বিদ্যুৎ কোথায় যায়? শহরের মধ্যেই যদি গ্রামের চেয়ে বেশি লোডশেডিং হয়, তাহলে মানুষ কোথায় যাবে? গ্রাহকরা সবাই সময়মতো বিল পরিশোধ করেন। তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি তেলের সংকট হবে কেনো? কেনো সময়মতো আমদানি করা হয় না?

জানতে চাইলে পিডিবি দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম বলেন, চাহিদা অনুযায়ী জ্বালানি তেল না পাওয়ায় দিনে বেশকিছু তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই কারণেই লোডশেডিং কিছুটা বেড়েছে। তবে জ্বালানি তেল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত সংকট কেটে যাবে।

Scroll to Top