চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: ‘দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থা’ নামে একটি প্রতারক চক্রের তিন সদস্য দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয়ে এসে দুদকের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে লাইভ দিতে শুরু করেন। ফেসবুকে তারা দুদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা, জরিমানা ধার্য ও আদায়, চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ধরে লাইভ দিতে শুরু করেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তাদের।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচা দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকেই তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ওই তিন প্রতারকসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ভুয়া পরিচয়দানকারী দুদক কর্মকর্তাদের আটকের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেয় প্রতারক চক্রের দুই সদস্য। পরে তাদের স্বীকারোক্তি রেকর্ড করে অজ্ঞাত আট আসামিসহ চৌদ্দ জনের নামে পল্টন থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন— কথিত ‘দুর্নীতি নিবারণ সহায়ক সংস্থার’ নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল ইসলাম সম্রাট, সংস্থার পরিচালক (অপারেশন) মো. রায়হান ওরফে সৈয়দ রায়হান, নেত্রকোনার সাইফুল ইসলাম। এছাড়াও মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন পটুয়াখালীর বাসিন্দা সোলাইমান মুফতি, সিয়াম মাহমুদ মোবারক, হবিগঞ্জের রনি আহেমদ পায়েল এবং অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও আটজন।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, সরকারি কর্মচারী না হয়েও পরস্পর যোগসাজশে সরকারি কর্মচারীর ছদ্মবেশ ধারণ করে প্রতারণার আশ্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করে এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরসহ দুই শতাধিক বেসরকারি স্থানে আইন বহির্ভূত অভিযান পরিচালনা করেন। জরিমানা ধার্য ও আদায়, চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক মীমাংসা নামে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ এবং ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা, বিকৃত ও মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচার করেন।
দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে ১৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নগদ ও বাকিতে প্রায় ৫ লাখের বেশি টাকা চাঁদাবাজি করার কথা স্বীকার করেছেন।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি