নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে ‘লিয়াকত হোসেন’ নামে একজনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে। তবে এই নাম নিয়ে দলের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভ্রান্তি। ফলে নাম বিভ্রাটে দোটানায় পড়ে নেতাকর্মীদের প্রশ্ন, ‘কে এই লিয়াকত’?
অনেকেই ধারণা করছেন, তিনি বাঁশখালীর গন্ডামারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক লিয়াকত আলী।
কিন্তু কমিটি ঘোষণার পর লিয়াকত আলী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে এক পোস্টে লেখেন, ‘দল আমাকে যথেষ্ট মূল্যায়ন করার চেষ্টা করেছে।আমাকে দেয়া যাকাতি পদটি অন্য কাউকে দিয়ে দিলে খুশি করুন।’
এর কিছুক্ষণ পর তিনি পোস্টটি ডিলিট করে আবারও একটি বার্তা দেন। যেখানে উল্লেখ করেন, ‘দক্ষিণ জেলা কমিটিতে যে লিয়াকত দেখা যাচ্ছে, সেটি আমি নই।’
পরবর্তীতে তিনি তার ফেসবুকে আরো একটি স্ট্যাটাস দেন, যেখানে লিখেন— ‘আমি ২০০৯ সালে যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলাম, ১৬ বছর পর কি আমাকে প্রমোশন দেয়া হলো? না অপমান করা হলো?’
এ ব্যাপারে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করা লিয়াকত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি চাটগাঁ নিউজকে বলেন, কমিটিতে যে নামটি এসেছে সেটি লিয়াকত হোসেন। আমার নাম তো লিয়াকত আলী। আর আমি ২০০৯ সালে যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলাম, ফলে যারা সচিব-আহ্বায়ক হবেন তারা তো আমার সিনিয়র হতে হবে। তাহলে এই লিয়াকত আমি নই, এটা হয়তো অন্য কোন লিয়াকত হবে। সেটা কে তা আপনারা খুঁজে বের করেন।
তবে কমিটিতে পদ পাওয়া এই লিয়াকত হোসেন যদি আপনি হন তাহলে আপনি কি করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই লিয়াকত যদি আমি হয়ে থাকি তাহলে তা অন্য কোন সুবিধাবাদি নেতাকে দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ রইলো’।
এদিকে, কমিটিতে নাম আসা লিয়াকত হোসেন লিয়াকত আলী কিনা তা জানতে নতুন কমিটির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এটা হয়তো টাইপিং মিসটেক হয়েছে। এই লিয়াকত হোসেনই বাঁশখালীর গন্ডামারার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ লিয়াকত আলী।
চাটগাঁ নিউজ/এফএস/জেএইচ/এসএ