নিজস্ব প্রতিবেদক : যেখানেই হোক, কাছে কিংবা দূরে, দেশে নয়তো বিদেশে যদি আঞ্চলিক ভাষায় কারো সাথে একটু কথা বলতে পারা যায় তবে মনের কোণে জমে অন্য রকম অনুভূতি। আত্মবিশ্বাসে ভরে উঠে বুক।
কবির ভাষায় বলতে হয়- বিনা স্বদেশি ভাষা, মিটে কি আশা? আর এমনটাই ঘটেছে সাফ জয়ী বাংলাদেশ জাতীয় নারী দলের ফুটবলার সাহেদা আকতার রিপার জীবনে।
সাফ চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরার পর টাইগ্রেসদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। তবে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তো চট্টগ্রামেরই সন্তান। মানে চিটাংগ্যা। আর দলের তারকা ফুটবলার সাহেদা আকতার রিপার বাড়িও কক্সবাজার। মানে তিনিও চিটাংগ্যা।
তাইতো রিপা ঠিক করেন, সংবর্ধনায় ড. ইউনূসের সাথে নিজের আঞ্চলিক ভাষা চিটাগাংইয়া ভাষাতেই কথা বলবেন। যেই ভাবনা সেই কাজ। পুরস্কার নিতে ইউনূসের কাছে এসেই চিটাগাংইয়া ভাষাতেই শুরু করে দিলেন আলাপচারিতা। এমন একটা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রিপার সাথে চিটাংগ্যে আলাপে একাত্ম হয়ে গেলেন।
এই আলাপচারিতার অনুভূতি রিপা তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছেন। ফেসবুক বন্ধুদেরকে শুনিয়েছেন আনন্দময় সে মুহূর্তের কথা। রিপার দেয়া সে পোস্টটি নিচে তুলে ধরা হল:
তিনি লেখেন- প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের সংবর্ধনা দেওয়ার কথা শুনেই আমি চিন্তা করেছিলাম আমি কি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলবো কিনা! সাহস করে বলেই ফেললাম…..
স্যার আঁইতো চিটাংগ্যা।
প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় : তোঁয়ার বাড়ি হড়ে?
-স্যার আর বাড়ি হাস্সবাজার।
প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় : তইলে তো আঁরা চিটাংগ্যা।
পৃথিবীর যেকোনো দেশে হোক একমাত্র চট্রগ্রামের আঞ্চলিক বলতে পারলেই মনের ভিতর আলাদা একটা শান্তি অনুভব করি।
চাটগাঁ নিউজ/উজ্জ্বল/জেএইচ