সিপ্লাস ডেস্ক: পূর্ণিমার জোয়ারে ঢেউয়ের তোড়ে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন এ সড়কটির অন্তত ৬টি নতুন স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। সব মিলিয়ে গত তিন দিনে সড়কটিতে কমপক্ষে ১৫ স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভাঙনের কবলে পড়েছে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাট থেকে হাদুরছড়া বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন শ্মশান পর্যন্ত ২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১২টা ২ ঘণ্টায় ওই এলাকার পশ্চিম মুন্ডার ডেইলসংলগ্ন সড়ক নতুন করে ভেঙে গেছে দেড়শ মিটার। এসব জায়গার কয়েকশ ঝাউ গাছ উপড়ে গেছে।
দেখা গেছে, সমুদ্রে জোয়ারের সময় প্রবল ঢেউ এসে আঘাত হানছে সড়কে। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের একটি বিশেষ ইউনিট জিওব্যাগ দিয়ে সড়ক রক্ষায় কাজ করছে।
স্থানীয়রা বলছেন, সড়কের পূর্ব পাশে প্রভাবশালী অনেক ব্যক্তি জমি কিনেছেন। সে জমি ভরাট করতে সড়কের পাশের সৈকত থেকে অবাধে বালু তুলছে একটা শ্রেণি। এতে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া সড়ক রক্ষায় দেওয়া জিওব্যাগগুলোও ফেটে যেতে শুরু করায় ঝুঁকি আরও বেড়েছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. সেলিম বলেন, ভাঙনের কারণে স্থানীয় ২ হাজার পরিবার ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। দ্রুত ভাঙন ঠেকানো না গেলে টেকনাফের সাবরাং টুরিজম পার্ক অর্থনৈতিক অঞ্চল ও মেরিন ড্রাইভ সড়কের মধ্যে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। একইসঙ্গে সড়কের আশপাশের গ্রামের বসতঘর, জমিসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
তিনি বলেন, বড় ভাঙন রোধে সেনাবাহিনী কাজ শুরু করেছে। ছোট ছোট ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করা জরুরি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, পূর্ণিমার প্রভাবে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে গেছে। এতে মেরিন ড্রাইভের সাবরাং বাহারছড়া ঘাট, মুন্ডার ডেইল, হাদুরছড়া ও পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকার বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর কাজ করছে।
কক্সবাজার শহরের কলাতলী জিরো পয়েন্ট থেকে টেকনাফের সাবরাং জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ সড়কটি। এটি দেশের পর্যটন শিল্পের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিসাবে বেশ পরিচিত।