সিপ্লাস ডেস্ক: চীনের সাংহাই নগরীর মতো চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণ হয়েছে। টানেল নির্মাণের ফলে পাল্টে যাচ্ছে আনোয়ারা উপজেলার চিত্র।
পরিণত হচ্ছে উপশহরে। তবে সেই উপশহর যেন পরিকল্পিতভাবেই গড়ে তোলা হয়, এমন দাবি স্থানীয়দের।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় আসা আনোয়ারা উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা এ দাবি জানিয়েছেন।
তারা বলেন, একজন নাগরিকের মৌলিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে একটি উপশহরে। আনোয়ারাকে উপশহর ঘোষণা করার পর সেখানকার নাগরিকদের যদি সেবা নিতে চট্টগ্রাম শহরে যেতে হয় তাহলে সেটি উপশহর হবে না। তাই পরিকল্পিতভাবে উপশহর গড়ে তুলতে হবে।
শেখ আহমেদ নামের এক বৃদ্ধ বাংলানিউজকে বলেন, আমার বয়স ৭০ বছর। ছোটবেলা থেকে দেখছি আনোয়ারা উপজেলা অবহেলিত। অথচ শহরের কাছের একটি উপজেলা এটি। কিন্তু শহরের কোনও সুযোগ সুবিধা আমরা পেতাম না। টানেল নির্মাণের ফলে এ উপজেলায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। যোগাযোগে নতুন এক দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের ফলে আনোয়ারা কেবল উপশহর নয়, একটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক হাবে পরিণত হবে। অনেক বড় বড় কোম্পানি এখানে তাদের কারখানা নির্মাণ করছে। সেখানে এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
আমিনুল ইসলাম নামের এক স্কুল শিক্ষক গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের ফলে পাল্টে যাচ্ছে আনোয়ারার চিত্র। বর্তমানে সিইউএফএল, কাফকো, ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানি, কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইকোনমিক জোন ও পারকি সৈকত রয়েছে আনোয়ারায়। এই টানেল আনোয়ারার আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।
আনোয়ারার চাতরী ইউনিয়নের বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, টানেল ঘিরে ইতিমধ্যে আমাদের এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো জমি কেনা শুরু করেছে। জমির দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে।
শুধু আনোয়ারা উপজেলা নয়, টানেল নির্মাণের ফলে কর্ণফুলী ও পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামের চিত্র পাল্টে যাবে বলে জানান স্থানীয় নেতারা।