টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সিডিএতে দুদকের অভিযান

সিপ্লাস ডেস্ক: নকশা অনুমোদনের আবেদন ফি জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (সিডিএ) অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার দুপুরে দুদকের পাঁচ সদস্যের একটি দল নগরের কোতোয়ালি মোড়ে সিডিএ কার্যালয়ে এ অভিযান চালায়। এতে নেতৃত্ব দেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রামের উপপরিচালক নাজমুস সাদাত। নকশা অনুমোদন-সংক্রান্ত দুই বছরের তথ্য তলব করেছেন তারা। একই সঙ্গে এই-সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি পর্যালোচনা করেন দুদক কর্মকর্তারা।

নাজমুস সাদাত বলেন, দুদকের হটলাইন নম্বর ১০৬-এ অভিযোগ আসে, ভবনের নকশা অনুমোদনের আবেদন ফির টাকা ব্যাংকের সিল-সই জাল করে আত্মসাৎ করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অভিযান চালানো হয়। এখানে অনেক নথি যাচাই-বাছাইয়ের বিষয় রয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠানটির দুই বছরের কাগজপত্র চেয়েছি, যা পরে পর্যালোচনা করে এবং ব্যাংক হিসাবের সঙ্গে কোনো অমিল আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।

অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গত চার বছরের প্রায় ৮-৯ হাজার ফাইল আছে। কয়েকটি ফাইল দেখেছি। দু-একটিতে অসংগতি আছে বলে মনে হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে।

গত মাসে ব্যাংকের সিল-সই জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ভবন নির্মাণ করতে হলে নকশা অনুমোদন নিতে হয়। নকশা অনুমোদনের আবেদন ফি দুই হাজার টাকা এবং সিডিএর কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের জন্য ২০ টাকা করে জমা দিতে হয় আবেদনকারীদের। সাধারণত আবেদনকারীরা হয়রানি এড়াতে সিডিএর কর্মচারীদের মাধ্যমে এই ফরম জমা দেন। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, সিডিএর একশ্রেণির কর্মচারী আবেদনকারীদের কাছ থেকে টাকা নিলেও তা ব্যাংকে জমা দেননি। ব্যাংকের সিল ও সই জালিয়াতি করে স্লিপ আবেদন ফরমের সঙ্গে জমা দিতেন।

দুদকের অভিযানে সিডিএর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ

জহিরুল আলম দোভাষ সাংবাদিকদের বলেন, ‘নকশা অনুমোদন নিয়ে হয়রানির অভিযোগ ঠিক নয়। হয়তো কেউ ফরমের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে পারেন না বলে অনুমোদন পেতে সময় লাগে। ব্যাংক স্লিপ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে দুদককে সহযোগিতা করা হবে। সিডিএ তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণ হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Scroll to Top