পড়া হয়েছে: ১৯
সিপ্লাস ডেস্ক: সায়ন্তিকা জানান, বাংলাদেশে ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিংয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তার। এসময় নায়িকা অভিযোগ আনেন প্রযোজক মনিরুল ইসলামের ওপর। বলেন, প্রযোজকের অপেশাদারি আচারণে শুটিং ছেড়ে কলকাতায় ফেরত আসতে হয়েছে তাকে।
সায়ন্তিকা সংবাদমাধ্যমে আরও বলেন, সিনেমার কাজ সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া হয় না। অথচ ‘ছায়াবাজ’ সিনেমার শুটিংয়ে পরিকল্পনার অভাব ছিল। এদিকে সিনেমার প্রযোজক ও নৃত্য পরিচালক বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলছেন, সায়ন্তিকাই অপেশাদার। তিনি ও নায়ক জায়েদ শুটিংয়ে শিডিউল অনুযায়ী আসতেন না।
সাক্ষাৎকারের এক পর্যায় সায়ন্তিকা কথা বলেন জায়েদ খানের সঙ্গে হোটেলে সময় কাটানো প্রসঙ্গে। সায়ন্তিকা বলেন, ‘এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে আমি কোনো সাফাই দেব না। কারণ সত্যিটা কী, তা আমি জানি। তাই কে কী বলছে তা নিয়ে ভাবতে চাই না।’ তাছাড়া নায়ক-নায়িকা ঘণ্টার পর ঘণ্টা হোটেলে বসে থাকলে সেখানে সমস্যা কোথায়- এমনও প্রশ্ন তুলেছেন অভিনেত্রী।
হোটেলে সময় কাটানো প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে সায়ন্তিকার আগে জায়েদ খান মুখ খুলেছিলেন। ওই সময় জায়েদ সংবাদমাধ্যমে জানান, সায়ন্তিকা ডেইলি বেসিসে কাজ করেন। ঘটনার ওইদিন প্রযোজক মনিরুল ইসলাম বলেন, নৃত্য পরিচালক মাইকেল আমাদের ড্রেস পরিবর্তন ও লাঞ্চের জন্য এক ঘণ্টা সময় দেন। হোটেলে ড্রেস চেঞ্জ করতে গিয়ে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। নায়ক-নায়িকার ড্রেস ম্যাচিং করা আমার কাজ নয়। তারপরও সিনেমার স্বার্থে আমি নিজে কিছু ড্রেস ম্যাচিং করি। এতে আমাদের দেরি হয়।
হোটেলে ৪ ঘন্টা সময় পার করার আরও একটি কারণ হিসেবে জায়েদ সংবাদমাধ্যমে জানান, প্রযোজকের হোটেলের পেমেন্ট পাঠিয়ে দেয়ার কথা ছিল। তাও করা হয়নি। তাই হোটেলে ৪ ঘন্টা ফেঁসে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না জায়েদ ও সায়ন্তিকার।