জাতীয় নির্বাচন : ভারত বলছে অভ্যন্তরীণ বিষয়, মাইলফলক বলছে চীন

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : আগামী রোববার (৭ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। একটি আসনের একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে এবং বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য একটি মাইলফলক হবে বলে মন্তব্য করেছে চীন। আর এই নির্বাচনকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করেছে ভারত।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি, এটা সফল নির্বাচন হবে। এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যও মাইলফলক হবে। নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হলে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী হবে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তার কাছে এক সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল— আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কেননা, প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান কী?

জবাবে জয়সাওয়াল বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত বলে আসছি, বাংলাদেশের নির্বাচন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।

অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে। আমরা বেশ কয়েকবার বিষয়টি পরিষ্কার করে বলেছি। আমরা খুব নিবিড়ভাবে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করব।

অপরদিকে জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। গত ৩ জানুয়ারি নিউইয়র্কে এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের সহযোগী মুখপাত্র ফ্লোরেন্সিয়া সোতো নিনো সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আশা করি- সব নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বরাবরই বলে আসছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দেবে জানিয়ে আজ (শুক্রবার) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেওয়া হবে। সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবে। তারা নির্ভয় ভোট দেবে। ভোট দিতে কেউ বাধা দিলে তাদের প্রতিহত করা হবে।

এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এই নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনে যে বা যারাই বাধা দেবে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিষেধাজ্ঞা দেবে বলেছিল। কিন্তু বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনে বাধা দিচ্ছে, হরতাল দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে কেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বিরুদ্ধে ভিসানীতি প্রয়োগ করছে না। সেটা আমাদের মনে প্রশ্ন জাগায়!

এদিকে ভোটের বিষয়ে গতকাল কূটনীতিকদের সর্বশেষ পরিস্থিতি ব্রিফ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ব্রিফিংয়ে চীন, রাশিয়া, জাপানসহ পশ্চিমা বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা থাকলেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ও ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা উপস্থিত ছিলেন না। তবে দুজনই দূতাবাস থেকে প্রতিনিধি পাঠান।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top