নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এই জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই বর্তমানে ১৯ শতাংশ ডেঙ্গু হচ্ছে। ‘ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ বা আইপিসিসি’র এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের লুইসিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিন্স শহরে আয়োজিত আমেরিকান সোসাইটি অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিনের বার্ষিক সভায় গবেষণাটি উপস্থাপিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোর্তেজা নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মোর্তেজা ২১ নভেম্বর চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরের দিন ২২ নভেম্বর তিনি মারা যান। ডেঙ্গু আক্রান্তের কারণে শ্বাসযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। চলতি নভেম্বরের গত ২২ দিনে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট ১৫ জন মারা গেছেন।
আইপিসিসি’র গবেষণায় বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকার তাপমাত্রা ও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে স্পষ্ট ও সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। যেমন- বৃষ্টিপাতের ধরন, ঋতু পরিবর্তন, ভাইরাসের ধরন, অর্থনৈতিক সমস্যা ও জনসংখ্যার ঘনত্ব ডেঙ্গু সংক্রমণের হারকে প্রভাবিত করতে পারে। জলবায়ু উষ্ণায়নে প্রভাবিত এলাকায় বসবাস করছেন এশিয়া ও আমেরিকার অন্তত ২৫ কোটি ৭০ লাখ মানুষ। যেখানে মৃদু ডেঙ্গু উপসর্গহীন হতে পারে। আবার দেখা দিতে পারে জ্বর ও ফ্লুর মতো লক্ষণও। তাছাড়া গুরুতর ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে রক্তপাত ও নিম্ন রক্তচাপের মতো লক্ষণ, যেখানে হঠাৎ রক্তচাপের কমে যাওয়া হতে পারে কারো মৃত্যুর কারণ।
চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মৃত্যুর নেপথ্য কারণগুলোর সাথে আইপিসিসি’র গবেষণা তথ্যের সামঞ্জস্যতা খুঁজে পাওয়া গেছে। চলতি বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৪০ জনের মৃত্যুর নেপথ্য কারণ হিসেবেও উঠে এসেছে উপসর্গহীন ডেঙ্গু, জ্বর বা ফ্লুর মত লক্ষণ, রক্তপাত, রক্তচাপ কমে যাওয়া।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি