সিপ্লাস ডেস্ক: গত তিনদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতার ভোগান্তি পোহাচ্ছে নগরবাসী। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে নগরীর অধিকাংশ এলাকা। ঘরবন্দী হয়ে পড়ছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। গত দু’দিনের মত গতকালের বৃষ্টিতে ডুবে গেছে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, অলি-গলি, নিচতলার ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এই দুর্ভোগে যেন অন্ত নেই। বেলা ১২টার পর থেকে বৃষ্টির পানির সাথে যোগ হয় জোয়ারের পানি। ফলে নগরীর নিচু এলাকাগুলোতে পানি জমেছে কোমর পর্যন্ত।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ রবিবার (৬ আগস্ট) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ভারী বর্ষণের ফলে নগরীর বাকলিয়া, চকবাজার, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, চান্দগাঁও, ষোলশহর, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, মোহাম্মদপুর, শুলকবহর, চাক্তাই, খাতুনগঞ্জ, কাতালগঞ্জ, সিডিএ আবাসিক, শান্তিবাগ আবাসিক, ছোটপুল-বড়পুল, গোসাইলডাঙ্গা, হালিশহর, আগ্রাবাদসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর সমান পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ফলে, নগরীর বিভিন্ন নিচু এলাকায় দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ঘর-বাড়িতে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়াও নগরীর উচুঁ এলাকা হিসেবে পরিচিত খলিফাপট্টি ও নন্দনকাননের সড়কেও জমেছে পানি।
অন্যদিকে, বৃষ্টি থামার কিছুক্ষণের মধ্যে কিছু কিছু এলাকার পানি সরে গেলেও চকবাজার, বাদুরতলা, বাকলিয়াসহ অনেক এলাকার পানি দীর্ঘক্ষণ ছিল। নালা ও ড্রেন পরিষ্কার না থাকায় সড়ক ও অলি-গলি থেকে পানি খালে যেতে সময় লেগেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জলাবদ্ধতা প্রকল্পে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের পরও জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নগরবাসী। নালা ও ড্রেনগুলো সিটি কর্পোরেশন নিয়মিত পরিষ্কার না করলে প্রকল্পের সুফল মিলবে না বলে জানান জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লে. কর্নেল মো. শাহ আলী।
এছাড়া, জলাবদ্ধতার কারণে নগরীর বিভিন্ন সড়কে পরিবহন সংকট দেখা দেয়। পরিবহন সংকটের পাশাপাশি বাড়তি ভাড়ার নেয়ার অভিযোগও উঠেছে।
তারেক মাহমুদ নামের এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, সাড়ে ১০টায় কোচিং এর জন্য বাসা থেকে বের হয়েছি। গাড়ি না পেয়ে আধা ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিলাম। তাছাড়া, মুরাদপুর থেকে যেখানে ১০ টাকায় জিইসি যাওয়া আসা করি, এখন দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে।