চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : পেশায় তিনি চোর। চুরির দায়ে জেল খেটেছেন, এলাকা ছাড়াও হতে হয়েছে তাকে। তবে মন্দিরে।চুরি করতে গিয়ে অপরাধবোধে ভুগছিলেন। তাই চুরি করার আগে পুকুরে গোসল করে মন্দিরে কালী প্রতীমার পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন। তারপর চুরি করেন তিনি।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের পর এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছেন হারুনর রশিদ নামের এক চোর, যার বাড়ি চন্দনাইশ পৌরসভার গাছবাড়িয়া এলাকায়।
চট্টগ্রামের পটিয়ার কচুয়াই ইউনিয়নের সাবিত্রী মন্দিরে ১০ মার্চ রাতে এই চুরির ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে নিজ বাড়ি থেকে হারুনর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পটিয়া থানার এএসআই অনুপ কুমার বিশ্বাস জানান, কচুয়াইয়ে একটি মন্দিরে চুরি করতে গিয়ে সিসি ক্যামেরা দেখে আর ভেতরে প্রবেশ করেনি এই চোর। পরে সাবিত্রী মন্দিরে চুরি করতে যায়। সেখানে পাশের পুকুরে হাত-পা ধুয়ে ভেতরে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এরপর জানালা ভেঙে গর্ভগৃহে প্রবেশের সময় অনুতপ্ত হয়। তাই আবার পুকুরে গিয়ে গোসল করে মন্দিরে ঢুকে। অতঃপর কালী প্রতিমার পা ধরে ক্ষমা চেয়ে দান বাক্স ভেঙে ৭ হাজার নগদ টাকা ও সিসি ক্যামেরা, মনিটর চুরি করে নিয়ে যায়।
হারুনর রশিদকে গ্রেপ্তারের পর নগরীর খুলশী থানাধীন আমাবাগান এলাকা থেকে চুরি করা মনিটর উদ্ধার করা হয়েছে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সিসি ক্যামেরা। মন্দিরের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম।
পুলিশ জানিয়েছে, চুরি করা হারুনর রশিদ স্বভাব। কাজের সন্ধানে দুবাই গিয়েও সে চুরিতে জড়িয়ে পড়ে। সেখানে গ্রেপ্তার হয়ে সাড়ে তিন বছর কারাভোগ করেছে। তিন বছর আগে দেশে ফিরে এসে আবারও চুরিতে জড়িয়ে পড়ে। দেশে ফিরে প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে সাড়ে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি করে ধরা পড়ে সে। এরপর থেকে এলাকা ছেড়েছিল হারুন।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ