চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ সম্প্রতি চীনে স্বর্ণের একটি খনি আবিস্কৃত হয়েছে। এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম স্বর্ণের রিজার্ভ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া’তে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মধ্য চীনের হুনান প্রদেশের পিংজিয়াং কাউন্টিতে আবিষ্কৃত স্বর্ণের এই মজুদের মূল্য প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় সংখ্যাটা প্রায় ১০ লাখ কোটি টাকা। বর্তমানে এটিকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ সোনার মজুদ দাবী করা হচ্ছে।
সদ্য আবিষ্কৃত এই মজুদে প্রায় ১০০০ হাজার মেট্রিক টন উচ্চমানের আকরিক (ওর) রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভূতাত্ত্বিকদের ধারণা সত্য হলে, দক্ষিণ আফ্রিকার ৯০০ মেট্রিক টন আকরিক-সম্রিদ্ধ ‘সাউথ ডিপ’ খনিকে ছাপিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণের মজুদ এখন পিংজিয়াং কাউন্টিতে অবস্থিত।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লক্ষ বছর ধরে তৈরি হয় স্বর্ণের মজুদ (গোল্ড ডেপোজিট)। এক্ষেত্রে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে স্বর্ণ-সমৃদ্ধ তরল (ফ্লুইড) একটু একটু করে পাথরের মধ্য দিয়ে চলাচল করতে করতে স্বর্ণের মজুদে পরিণত হয়।
সহজ ভাষায় , খনিজ-সমৃদ্ধ, গরম তরল পৃথিবীর ভূত্বকের ফাটলগুলোর মধ্য দিয়ে সঞ্চালিত হয়। এই তরল আশেপাশের শিলা বা পাথরগুলো থেকে সোনা দ্রবীভূত করে থাকে। অতঃপর তাপমাত্রা হ্রাস পেলে বা চাপের পরিবর্তন ঘটলে দ্রবীভূত সোনা জমাট বেঁধে যায়। এই প্রক্রিয়ায় লাখ লাখ বছর ধরে জমা হতে হতে তৈরি হয় এরুপ বিশাল আকারের এক একটি সোনার মজুদ।
হুনান প্রদেশের ভূতাত্ত্বিক ব্যুরো’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পিংজিয়াং কাউন্টিতে ভূতত্ত্ববিদরা প্রায় ২ কিলোমিটার পর্যন্ত গভীরতায় ৪০টি স্বর্ণ শিরা বা গোল্ড ভেইন সনাক্ত করতে পেরেছেন। প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুসারে, এই ৪০টি স্বর্ণ শিরাতেই ৩০০ মেট্রিক টন সোনা থাকতে পারে বলে জানা গেছে। সাইটটির ৩ কিলোমিটার গভীরে স্বর্ণের অতিরিক্ত মজুদ থাকতে পারে বলে উন্নত থ্রিডি (৩ডি) মডেলিং প্রযুক্তি ইঙ্গিত করছে।
ব্যুরো’র প্রসপেক্টর, চেন রুলিন বলেছেন যে, ড্রিল করা পাথরের মূলে স্বর্ণ দৃশ্যমান হয়েছে। পাথরের মূল থেকে সংগ্রহ করা স্যাম্পল পরীক্ষা করে ধারণা করা হচ্ছে প্রতি মেট্রিক টন আকরিক বা ওর থেকে ১৩৮ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণ পাওয়া যেতে পারে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি